উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।
পৃথিবীর ধিক্কারে নিষিদ্ধ যাত্রাপথে
ভস্মলিপ্ত-দেহ মানেনা পঞ্চস্কন্ধের ভেদ,
অজ্ঞানরূপ অন্ধকারে
মুদ্রিত মৃত্যুর ভাষা
অামরা কেবল সময়ে সময়ে জন্মাধীন,
পক্ষপাতী চোখের ভিতর অাকাশধাতু,
দৃষ্টিসীমায় টাঙানো অাছে বাকবিজ্ঞপ্তি।
পান-ভোজনেও চলে ধস্তাধস্তি
মহাকালের অালোচনাচক্রে
অন্ধ পঙ্গুর মিলনের মত ক্ষণস্থায়ী সুখ,
ছায়াঢাকা চেতনার পীঠে সূর্যের অাগমন নির্দেশাত্মক,
যথাভূতজ্ঞান দর্শনে দুঃখ-নিবৃত্তি।
শাখাসুশোভিত ক্ষয়বিকৃতি-রহিত জাতক
খুঁজে বিপাশার স্রোত
পিপাসা চিরন্তন কিন্তু সাম্প্রদায়িক!
হাল্কা হাল্কা মেঘ
বিদ্যুৎ-ছন্দে নাস্তানাবুদ মঠ-মন্দির;
মস্তকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
অাত্ম-শোধনের প্রাসাদ ভেঙে
বেরিয়ে পড়ে চক্রধারী
বাতাসে বাতাসে অন্ধবিশ্বাস।
কদাচিৎ স্বান্তনা পায় দুর্গতিপ্রাপ্ত ক্যালেন্ডার
মরা-তারিখে ফুঁসলে ওঠে অাঁকাবাঁকা সাপ!
ছড়ানো-ছিটানো বিষের তীব্রতায়
স্বপ্ন-সমুদ্রে সলিল সমাধি,মৃত্যু ধ্রুব।
পুনরায় রূপ-রূপান্তর,
জগৎ ঋতুমতী।
সকৌতুকে হাসে প্রতিসন্ধি বিজ্ঞান,
অণ্ডকোষে রসাভাব;
ডিম্ব ও শুক্রকীটের মহামিলন!
কাঁদে কার্য্য-কারণ-জ্ঞাত জনার্দ্দন;
এ যে স্বরবর্ণ বিপর্যয়!
স্বর্ণশিখরে নিত্যসমাস
অজ্ঞেয় অালোর ব্যাকরণ...