জীবন কাব্যের উপমা খুঁজতে গিয়ে,বহুবার জানতে চেয়েছি-
ঝরা ফুল কতখানি একা?
আরো জানতে চেয়েছি-
কতখানি দুঃখ পেলে পাখির পালক ঝরে পড়ে যায়?
আবার ক্ষুধার রাজ্যেও আমি হয়েছি এক আজন্ম ভিখিরি।
যে আজো শোধ করতে পারেনি দু'মুঠো ভাতের ঋণ।
এখন, জ্বলে উঠে দাউ দাউ আগুন,অবারিত বুকে।
নেভাতে আসেনা কোন সুপুরুষ, যারা আসে তারা মরে গেছে মৃত্যুর আগেই।
আসলে কতটুকু সরে দাঁড়ালে ,ভেতরের উদ্ধত স্পর্ধাটুকু দেখতে পাওয়া যায়?
জানা নেই-পীঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে।
ওদিকে মাটির আক্রোশে চাপা পড়ে রক্তের ফুল;মধ্যদুপুরের ঘুম ছিনিয়ে নেয় বাস্তবিক স্বপ্ন।
ইতিহাসও বিকৃত;প্রশ্নিল চোখে উত্তর খুঁজি- মাইলের পর মাইল।
রাত্রির প্রহরী হয়ে ভৌতিক শ্মশানে রেখে আসি আমার কাব্যিক দেহ।
হে মানুষ!
ভুল সময়ে জেগে উঠে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকার নাম যদি হত বেদনা,
তবে সাধনাময় সূর্যের কাছ থেকে আলোর মালা এনে,
তোমাদের পৃথিবীকে সাজিয়ে দিতে এতটুকু কার্পণ্য করতামনা !
আজ তোমাদের রক্তাক্ত সময়ে , আমি সবুজশোভিত বৃক্ষের দলে;
কেননা তোমরা মানুষ হতে পারোনি…………….