পাষাণলিপি
------------------
গর্ভকালীণ যন্ত্রণায় অসম্ভব দীর্ঘশ্বাসে সবেমাত্র পা ফেলেছি ঘরের বাইরে...
শীতল হাওয়া বারো হাত শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছে মাতৃজঠরের অাঁধার,
অাকাশের মেঘ জলভারনত হয়ে অামাকে ডাকছে বৃষ্টির কাছে
অামি হাঁটছি শূন্যদৃষ্টি ছায়ায় অবিরাম...অবিরাম...
অামাকে ঘিরে ধরলো রাত্রির কিছু প্রেত,দেখতে অবিকল অামারই মতো মানুষ
মানুষ নাকি অভিশাপ?
বুদ্ধের মূর্তির মতোন স্থবির চোখে পৃথিবীর বুকে রক্তপিপাসু ঢেউ অামাকে নিষিদ্ধ করে।
অামি অার পারছিনা ...উহ্!
অামাকে ল্যাংটো করিয়ে খুবলে খেলো সব
তবু শেষ হয়নি কারো বুনো উল্লাস...
দুটো হাত শক্ত গাছের ডালে বেঁধে দাঁড় করালো
যেন অবিকল জীবন্ত লাশ...
প্রতিটি নখের ভেতর গরম সুঁই ঢুকিয়ে শক্ত করাতের তলে কর্তন করা হলো দশটি অাঙুল,
গরম চাকু দিয়ে গায়ের চামড়া অতিধীরে ছিলানোর পর
দুটো স্তন ফেলে দিলো অরণ্যের গহীনে;
তবু শেষ হয়নি কারো বুনো উল্লাস...
উদরে অবিরাম...অবিরাম...
লাথি মেরে বের করে উগলে দিলো গর্ভজাত ভ্রণ,
যাকে ঠুকরে খেলো শ'খানেক দাঁড়কাক,
পাঁচ টাকার ব্লেডে
অামার যোনি হলো ফালি ফালি,
তবু শেষ হয়নি কারো বুনো উল্লাস...
কুঠারের অসংখ্য অাঘাতে একসময় দ্বি-খন্ডিত হলাম,
অামি অার পারছিনা...উহ্!
অামাকে মাটিচাপা দিয়ে চলে গেলো রাতের কিছু প্রেত,
কিন্তু এখনও অামার কবর খুঁড়ে অামাকে ধর্ষণ করা যায় কিনা,
ভেবে দেখছে কেউ কেউ...
এক মৃত মানুষের গল্প
--------------------------
রাত পার হলো চোখে,
তারাগুলো শুকিয়ে অপেক্ষা হয়ে অাছে কোন এক সন্ন্যাস শিয়রে
ভোরের রঙে
পাখিরা ফিরে যায় দূরে কোথাও
ফুলগুলো ঝরে গেলো অশ্রুপাশে
নদী পেলো ভাঙনের সুর
বৃক্ষেরা চুপকথায় গান হয়ে জাগিয়ে দিলো মাটির পিপাসা
এখন হাড়ের পাশে ছাই, ধরেছে মায়া
বাতাসের রশি বেয়ে অব্যক্ত ব্যথার ঘাম
চুইয়ে পড়লো জীবীতের কাছে;
অাগুন শুনিয়ে দিলো
এক মৃত মানুষের গল্প