মাথা কেটে বসিয়ে দিলাম একখানি কবিতা
এখানে অাছে কলঙ্ক,অাছে জ্যোৎস্না,অাছে অমানিশা
যেটা চাও নিতে পারো
শুধু অামাকে রেখোনা অতীতে
অামার সমস্তটাই তোমাদের স্বপ্ন

            এক জন্মের শব্দসমষ্টিই জীবনের ধ্বনি
স্তব্ধতা ধ্রুব,অদৃশ্যের প্রতীক্ষাই সময়ের কণ্ঠহার

মাটির এ সুপ্ত মেধায় বিষণ্ণ জ্বর উঠে গেলে
             কলমকে স্নান করিয়ে নেয়াটাই সভ্যতা,

যদিও শব্দের মাংস ছিঁড়ে উঠে যাবে চাঁদ
          তবুও রেখে দিবে জ্যোৎস্না, সময়ের স্তনে

জগতে মানুষের চোখ সত্যি বড় অালাদা
এ যেন অসমাপ্ত ক্রন্দনের জ্বলন্ত ইতিহাস।

প্রেমিকা...

            মানুষের পাশ থেকে ওঠে যাচ্ছে ছায়া
            অামি একা অার পদচিহ্ন পাশাপাশি
            পিছনে একবাক্স চিঠি,লতানো মায়া
            প্রশ্ন,তোমারে ক্যান এত ভালোবাসি?

সামনে এসে দাঁড়াক পৃথিবী
ভার সয়ে হালকা হই, হোক না কিছু ক্ষয়
হৃদয়ে থাক দেনা,বাঁচুক কবি
বোকা,একটি  চুমুও যে মারণাস্ত্র হয়
...
এবং খুনকেও মানা যায় ভালোবেসে।

                       যখন অামি হারিয়েছি এ শরীর,
মৃত স্বপ্নকে গুঁড়ো করে গিলে খেয়েছি নগ্ন ভাইরাস জ্বরে,
যেহেতু পাথরের চেয়েও স্থবির হতে পারাটা মানুষের জন্মগত অধিকার

মানুষ দাঁড়াও,
তোমাকে পেয়েছি সত্যিকারের
যখন অামি হারিয়েছি এ শরীর, অন্য হাতে

নিবে তো অামায়?
মানুষ পারে কাছে নিতে,
                   ভালোবেসে...

                 দিতে পারিনি যা,
নিবো কেনো তা?

চোখ অার খুন পরস্পর মিশে গেলে
মানুষের রক্তে পরিচয় দিয়ে যাব,
অামি কতখানি প্রেম নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম মৃত্যুর কাছাকাছি!

এক টাকার দেশলাইয়ে ভরেছি জীবন,
বারুদে ফুল যদি দিতে চাও,অাগুনের কাছে জিজ্ঞেস করো,
নীরবে পুড়তে হলে অনুপম সাহসের মুখোমুখি হওয়াটাও
অশ্রুর কাছে কি ইতিহাসের একধরণের ভিক্ষা?

মাথা কেটে বসিয়ে দিলাম একখানি কবিতা
অশ্রুর দাম মানুষের চেয়ে কিছু বেশি!

মৃত্যুকে জিহ্বা দিয়ে চেটেছি এমন করে
যাতে কোনদিন তাতে ঘাস না জন্মায়...

প্রেমিকা...

অাগুনের কাছে ছুটে এলাম
যাতে তোমাকে  না পোড়ায়,
মাইরি প্রেম বুঝো বেশ!
স্পর্শ দিতে শিখোনি?

অাকাশের কাছে ছুটে এলাম
যাতে তোমাকে পৃথিবী না দেখায়,
মাইরি মানুষ খুঁজো বেশ!
জায়গা অাছে তো?বুকে?

স্বেচ্ছায় গুপ্তহত্যা হোক বরং অামার
তুমি হও ঘামে ভেজা চাঁদ!
নীচে লটকিয়ে রাখো যদি এ দেহ,
কলঙ্কই হবে শেষ পুণ্য।