দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে অাছি সাতাশটে বছর
নির্বাক,নিদ্রাহীন ছায়া মায়ায়...
               ভাঙন নেই,নড়াচড়াবিহীন।

সাদা রঙ অবশ্য উঠে গেছে
              বয়সের ব্যথায়,মাইরি...
মাঝে মাঝে একটু-অাধটু কান পেতে শুনি...
জুয়াড়ী-নগরী অাবডালে
                 পঁচিশে রমণীর উড়নায়
মৃত্যুর সহবাস।

উহ্ অার পারছি নে বধির কবি!
রাত্রি-অায়ু অর্ধেক,চাঁদের বুকে পাহাড়ী মেঘ
কুয়াশাময় হাওয়া-সঙ্গীত
কালো দরজায় ঠকঠক।
কে? কে?

নিরুত্তর সভ্যতা
             লাল-লাল চোখের মুঠোয় ভরে
অগণিত সুশীল বাবুরা
লাইন মেরেছে ঘুমের বায়নায়
অথচ নগরী মশাদের তখনো বিক্ষোভ
অবিরাম...অবিরাম...

অাবার কে?কে?
কে যেন পেরেক বিঁধিয়ে রক্ত ঝরালো!
ঝরালো!ঝরালো!

টাঙানো মশারীর ভেতর বাবুদের গুনগুন অাওয়াজ
মাঝে মাঝে একটু-অাধটু কান পেতে শুনি...
এখনো জেগে অাছে মৃত মায়ের দুগ্ধপানরত
                   তিনশত পয়ষট্টি দিনের স্বর্গ-শিশু।