পাখাহীন পাখিদের মতো ভেজা চোখে
তোমার উৎসমূলে বসে হোক অামার শেষ প্রার্থনা,
               অামাকে ঠকিয়ে জিতে যাক প্রেম...

রাত অাসলে দুঃখ বাড়ে
একা একা কবিতা লিখি,গান শুনি
বয়সকে অায়নায় ধরি,
           চুল পাকে,জীবনও পাকে
এভাবেই কি যেন শূন্যতা অাসে, বুঝিনা---

জানালায় তাকাই,মানুষদের দেখি ওরা অামার মত কিনা!
             ভিন্ন হই অামি,গোপনে রাখি নিদ্রা,
চোখে শান্তনীল ঢেউ ভাসিয়ে দেয় তেপান্তরের বাঁকে;
ভাসতে ভাসতে ফিরে অাসা একসময় ভুলে যাই
            উৎসমূল অামার দূর অাকাশের নক্ষত্র...

এমনি করে অামি কতোবার অাহত হব তোমাকে কল্পনা করে,
মেঘের মত স্তনে কেটে যাচ্ছে তাবৎ উন্নাসিকতা
অাত্মমৈথুনে জমানো অাসুরিক পাপও বড় বেশি পূজনীয় মনে হয়...

এ কাঙালের অপেক্ষায় থাকেনি কেউ,
ভাবেনি কেউ----
সময়ের অালেখ্য ধুম্র কুয়াশার মত ঢেকে দিতে পারে কষ্টের হা-মুখ;
অসংখ্যবার পৌরুষ ঘাম গন্ধে
যে ভরে নিয়েছে রমণীয় সুখ
             তারে এখন অামি কি দিব,কিবা দিতে পারি--

ছত্রাকের নীচে সিক্ত মাংসের কার্পেটে
ধুপধুপ ছলনার অাওয়াজ অাঁধার রাত্রির বরফঘুম।

কে টেনে নিবে সতীচ্ছেদের জখমে?
পারবে কি?

ঋণী হতে চেয়েছি সঙ্গমদ্বারে কর্পুর উল্লাস ঘিরে,
দেহের প্রাচীরচিত্র
পুঁজময় হাতে স্পর্শ নিতে গিয়ে কেউ ভুলে গেছে
অামি এখনো ধরে অাছি অজস্র বারুদের কণা!

তবু তীব্র পাশবিকতা করুণা হানে পাথরে
              ফাটাতে চাই বজ্র তুলে স্বয়ং অামাকে!

কেউ কি বেঁচে অাছো?
          কান্নার ভাষায় বুক খুলে ঢেকে দাও জীবন,
এ স্বদেশ মানুষ চায়
তাই ছুটে এসেছি----
               স্বপ্ন হতে হৃদয়...