গোধূলির আকাশ সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসছে...
পাখিরাও ফিরছে নিজের বাসায়...
পুকুর পাড়ে বসে মালতি কেঁদে মরে রোজ ,
ওগো আমার সজনি তুমি গেলে হারিয়ে কোথায়?
সবাই আমাকে পাগল ভেবে দুর করে দিতে চায় গাঁয়ের থেকে ,
তাদের কাছে আমি একজন বধ্য উন্মাদ , কি হবে গাঁয়েতে আমাকে রেখে!
বলেছি তাদের আমি কত বার করে পাগল নই যে আমি,
তোমাকে ছাড়া যাবনা কোথাও , এখানেই লুকিয়ে আছে আমার স্বামী।
বহুদিন যাবত মালতি রোজই বসে থাকে পুকুর ধারে ,
শ্বশুরবাড়ী থেকে বিতারিত সে স্বামী চলে যাওয়ার পরে ।
মালতির কান্না তো আজ থেকে নয় রোজই সে এমন করে,
পুকুর পাড়ে বসে রোজ সন্ধ্যায় নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ করে,
কেউ যায় না তাকে স্বান্তনা দিতে , কেউ বলে না কাঁদিস না মালতি,
তোর ডাক শুনে তোর স্বামী একদিন দেখবি ফিরে আসবেই সত্যি সত্যি।
সেই পুকুরেই ডুবে গেছিল স্বামি ,মালতি ছিল তখন বাপের ঘরে ,
অনেক খোঁজ করেও পায়নি কেউ তাকে , শুনে মালতি পড়েছিল কালাজ্বরে,
তারপর থেকেই মালতি কেমন পাগলের মত হয়ে চারিদিকে ঘুরে বেড়ায়,
কখনও সে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আতিপাঁতি করে খোঁজে , কখনও আবার পাড়েতে বসে ,তার কথা ভেবে কাঁদে , কখনও বা জোরে জোরে খুব হাঁসে।
আজ নাকি কোন পাগলদের গাড়ী এসে মালতিকে নিয়ে গেছে সাথে করে ,
তাই তো আজ সারাদিন যাবত সে পড়েনি তো কারোর নজরে,
হায়, রে মালতি কি কপাল তোর , যে স্বামীর জন্য জীবনটা জলাঙ্জলী দিলি,
স্বামীর আত্মীয়রা তোকে পাগল ঠাওরালো , শেষে পাগলা গারদে তুই গেলি।।
সম্পা গাংগুলী ,মুম্বাই