খোকনসোনা সকাল-বিকাল প্রশ্ন করে একশটা।
যখন তখন খুলে বসে মিষ্টি কথার বাক্সটা।
আজগুবি তার প্রশ্নগুলোর দিতেই হবে জবাবটা
মা বলে চাঁদ পাইছে না-কি আমার যেমন স্বভাবটা।
দোকানদারে টাকা ছাড়া দেয় না কেন বাজারটা?
টাকা দিয়ে করবে কি সে প্রশ্ন এমন হাজারটা।
এমন কিছু প্রশ্ন করে শুনলে আমি অবাক হই
ভেবে দেখি প্রশ্নগুলোর যুক্তি আছে অবশ্যই।
সেদিন বসে পড়ছিলো সে ক' তে কলম, গ' তে গান
বললো হঠাৎ শুনছো বাবা বইয়ের মাঝে ভুল বানান!
সব বানানে লিখছে দেখো বর্ণ আগে সবসময়
ঙ-দিয়ে 'ব্যাঙ' লিখেছে ঙ-কেনো প্রথম নয়?
প্রশ্ন শুনে অবাক হলাম লাগলো মনে খুশির ঢেউ
একি আমার খোকন না-কি, বলছে কথা অন্য কেউ!
জিজ্ঞাসিলো রাত্রি এলে সূর্য তখন কই থাকে
জোনাকি তার বুকের ভিতর ক্যামনে বলো আগুন রাখে?
চাঁদটা কেন যায় হারিয়ে আবার আসে একটু পর
কোথায় থাকে চন্দ্র তারা কোথায় তাদের বাড়ি ঘর?
গরু,ছাগল পাখির ছানা যায় না তো কেউ ইশকুলে
ক্যামনে তারা মানুষ হবে পড়ে না তো বই খুলে!
মনের সুখে খেলায় তারা যেদিক খুশি যায় চলে
তাদের মা-বাপ দেয় কি ধমক ইশকুলে যাও এই বলে?
আমার হাতে রোজই কেনো বই খাতা আর কলম দাও
আমি একটু খেলতে গেলেই ধমকে বলো ঘরকে যাও
পড়তে আমার ভাল্লাগে না পাখির মতো উড়তে চাই
তাদের কত স্বাধীনতা বাধা দেবার কেউতো নাই।
ঐ আকাশে বাস করে কে যাবো আমি সেইখানে?
উড়োজাহাজ দাও না কিনে আকাশ ছুঁবো একটানে।
মাঝে মাঝে বিরক্ত হই রাগ করে কই চুপ করো
মায়ের কাছে যাও তো এবার মন লাগিয়ে বই পড়ো।
পরক্ষণে চিন্তা করি প্রশ্ন করাই ঠিক আছে
বুদ্ধি বিকাশ ঘটবে এতে আদর করে নেই কাছে।