পুঁজিবাদ,
চমৎকার এক মতবাদ!
কারো বা আলো ঝলমলে রঙিণ প্রভাত,
কারো বা অন্ধকারের দীর্ঘ রাত।

পুঁজিবাদ,
রাজা কে প্রসব করে মহারাজা রূপে
ধনীকে বানায় মহাধনশালী
সম্মানী ও অভিজাত।

পুঁজিবাদ,
ধনীর থালায় রকমারি পদ
গরীবের থালে ডাল ভাত।

জরিপ বলে বিশ্বের বুকে
নিঃস্ব ও গরীব আশি শতাংশের বেশি
অথচ কি অদ্ভুত ব্যাপার
সংখ্যা গরিষ্ঠরা সংখ্যালঘু
সম্পদের অনুপাত, রাতদিন তফাৎ।

আশি ভাগ গরীবের বুকে
উলঙ্গ নৃত্য করে
বিশ ভাগ পুঁজিবাদী রাক্ষুসে দানব,
ড্রাকুলার জাত।

আশি ভাগ সম্পদ এখন
বিশ ভাগ খাদকের হাতে,
বিশের বিষে ফুঁপিয়ে কাঁদে
আশিটি বেকুব মাথামোটা,
নিজের ভাগ্যকে দেয় অপবাদ।

পুঁজির সুউচ্চ পাহাড়ে দাড়িয়ে
পুঁজিপতি শ্রেণী
শুনেনা কারোর আর্তনাদ,
সারাক্ষণ ভাবনায় থাকে
কিভাবে সে হবে মহারাজ।

ক্ষুধা আর দারিদ্র্যতা,
পুঁজিপতির মোক্ষম পুঁজি,
কৌশলে টিকিয়ে রাখে
এই দারিদ্র্যতা,
পুঁজিবাদী করে বাজিমাত।

খেটে খাওয়া মানুষেরা জিম্মি
পুঁজিপতিদের আঁকা ছকে,
সস্তায় শ্রমিক তার শ্রম দিতে বাধ্য
ন্যায্যতার বুকে চলে শোষণের কষাঘাত।

পুঁজিবাদীর লোলুপ দৃষ্টি,  
বিষাক্ত নখদন্তের হিংস্র কালো থাবা,
বোয়ালের মত অহর্নিশি
আপন প্রজাতিকেই করে কুপোকাত।

পুঁজিবাদ,
নিঃস্বকে করেছে নিঃস্বতর
বিশ্বকে করেছে গ্রাস,
গরীবেরে শিক্ষা দেয়
ভাগ্যের'পরে কি কারো অাছে হাত?


রচনাকাল ৩১/০৭/১৭ ইং।
অক্ষরবৃত্ত মুক্তক