বাপের বাড়ি তোর আগমন প্রতিবছর স্বর্গ ছেড়ে
মর্ত্যলোকে আসিস মা তুই আশীষ দিতে সন্তানেরে।
ঘোড়ায় চড়ে, নৌকা চড়ে কিংবা দোলায়, গজে চড়ে
শারদ এলে আসিস মা তুই সিংহবাহন সঙ্গে করে।
জগদ্ধাত্রী, কাত্যায়নী, বৈষ্ণবী আর দুর্গা নামে
সন্তানেরা ডাকছে তোরে নিত্যদিনই ধরাধামে।
দুর্বলেরা, বঞ্চিতরা তোর কাছে মা ভিক্ষা মাগে
ভক্তরা গায় ভক্তিগীতি তাদের মনে তৃপ্তি লাগে।
দুর্গতিনাশ করতে মা তুই দশ হাতে নেস দশ হাতিয়ার
ভক্তসকল ধরলে এ রুপ ধ্বংস হতো সব জানোয়ার।
তোর পূজা তো তারাই করে যাদের আছে লক্ষ টাকা
তাই কি মা তুই দেস ঘুরিয়ে প্রবঞ্চকের ভাগ্যচাকা!
অসুরগুলেো দাঁত কেলিয়ে ক্যামনে হাসে ধরার বুকে?
রক্তে ওদের কর্ না মা স্নান যাক্ না সকল খেলা চুকে।
মা তুই যখন ধরায় থাকিস তখনও হয় খুনখারাবি
তবে কি তোর শক্তি অসাড়! মানতে হবে এমন দাবী?
মুর্খগুলো বুঝবে কবে তুই হলি মা শক্তির আধার
তোর পা ছুঁয়ে শপথ নিয়ে রুখতে হবে সব অনাচার।
মায়ের মতো মহিষাসুরসংহারিণী সাজতে হবে
অসুরগুলো মর্ত্য ছেড়ে লেজগুটিয়ে ভাগবে তবে।
মা শুধু নয় মহামায়া, মা কালী মা চণ্ডীকা মা গনেশ্বরী
অসুরবধে পূজা শেষে জাগতে হবে সে রুপ ধরি।