মুহুর্মুহু করতালি
বাবরি চুল, কাধেঁ শান্তি নিকেতনি ব্যাগ
সফেদ পাঞ্জাবি, মোটা ফ্রেমের চশমা পড়ে
মঞ্চে এলেন চৌধুরী কেরামত আলী।।
হাত উচিয়ে করতালির জবাব দিলেন
ফুলেল ভালবাসায় সিক্ত হয়ে
আসন গ্রহন করলেন
অতপর, সম্মাননা হাতে নিয়ে
আবেগে আপ্লুত হয়ে
কৃতজ্ঞতা জানালেন।।
উনি কবি, সেরাদের একজন
আজকের এই সংবর্ধনা, চোখ ধাঁধানো মঞ্চ্
লোক টানতে নামীদামী গায়কের উপস্থিতি
উনারই সম্মানার্থে সমস্ত আয়োজন।।
ফটোসেশন শুরু হলো
আলোয় ঝলমল চারদিক
ক্যামেরার ফ্লাশ, মিডিয়ার হুড়োহুড়ি
বিভিন্ন এঙ্গেল হতে ছবি উঠছে
সরাসরি সম্প্রচার করছে কোন কোন চ্যানেল
ভক্তরা সেলফি তুলে তৃপ্ত হলো,
কিন্ত শুরু থেকেই কবির হাসিতে
কেমন একটা মলিনতা, কৃত্রিমতা স্পষ্ট
বুঝা যাচ্ছিলো।।
গভীর রাত, চৌধুরী কেরামত একা ঘরে
টেবিলের উপর রাখা
পদকটির দিকে তাকালেন
শিয়রের কাছে রাখা সেই কাব্যগ্রন্থ
হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলেন,
হঠাৎ! এক অদ্ভুত আওয়াজে
শিহরিত হয়ে উঠেন তিনি
কে যেন খুব স্পষ্ট করে বলছে
"চোর" তুই চোর
তুই লেখা চোর।।
আওয়াজ হচ্ছে নিজেরই ভেতরে
এতটা জঘন্য, নীচ, হীনমনা তুই
ধিক্ তোকে, তুই আজ মহাকবি
পরের লেখা চুরি করে।।
এত যে অর্জন, সুনাম খ্যাতি যশ
পারবি কি নিজেকে বুঝাতে
তুই চোর নস্।।