যদিও ওটা নিয়মের কাজ,করলে লাগে দু'দিন।
তবুও বলি, ছয় মাসের কাজ ছয় দিনে
দাম না কি অধিক শ্রমের,দপ্তরটা এমনি!
ঘুস বলো বা সম্মানী, নাই এটাতে লজ্জা।
প্রমোশনটা পেতেই হবে,হবোই এবার যোগ্য
যা লাগে তা করব সবই, আছিই তো নির্লজ্জ!
বন্ধু সাজে এলো অনেক, স্বার্থ লুটে গেল
বিশ্বাস ভাঙল তারা, বিবেক বর্জিত হলো ।
রং মেখে সং সেজে রাস্তার পাশে দাঁড়াই
বাঁচতে হলে খেতে হবে রোজগার নাই।
এসেছি কেউ প্রয়োজনে,কেউ বা ধোঁকায় পরে
এখন আর লজ্জা কি,সে তো পুলক সজ্জা!
জটা চুলে ছোট পোশাকে,ভাবি স্মার্ট একাই
ফকিরের চেয়ে করুন বেশে নিজকে সাজাই
ফেসবুক আর ক্লাব করে সময় কেটে যায়
আধুনিকতার নামে এ যে সমাজের অবক্ষয়।
পিতা মাতা কে চেনেনা ছেলে,তারা গরিব বলে
সোসাইটিতে রাখতে মান বাঁধন ছিঁড়ল ছেলে।
আবার নব্যজাত সন্তান কে ডাস্টবিনে ফেলে
নেয়ে ধুয়ে নেয় জননী,লজ্জা ঢাকবে বলে।
চাচাত দাদার খুব নাম ডাক, প্রচুর ক্ষমতাবান
শত ভাগ যোগ্য নাতনির ক্ষেত্রে প্রচুর নীতিবান।
আসলে সুপারিশ বা কাজ অন্য খানে বেচলে লাভ
লক্ষ টাকাই জয়ী হলো, ছিল কি কোন লজ্জা?
অটিজমে দেশ ছেয়েছে, ভুক্ত ভুগি শুধুই বাবা-মা।
আপন-পর সকলে গেল,সমাজটাও মুখ ফিরালো
ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি,অটিজম নাকি আশীর্বাদ!
মানবতা হায় অন্ধ হলো, নেই তো কোন লজ্জা?
দেশিও পন্য বেশি আছে, রপ্তানী গোপনে তাই
বেশি দামের বিদেশ হতে আমদানি ওটাই।
মুখে জোড়ে বলছে ওরা সন্ত্রাসের নাই জায়গা
গদিটাকে ঠিক রাখতে সন্ত্রাসের পয়দা,কিসের লজ্জা!