টেবিলের পাশে বিশাল রুটিন,মা রেখে দিয়েছে।
স্কুলের পর কোচিং, পরে প্রাইভেটে পড়া আছে।
বিরতি তে কিছু টিফিন খেয়ে আবার ক্লাসে বসে
সারাদিন কাটে এভাবে, এক চক্রে ঘুরতে থাকে।
বই এর বোঝা কাঁধে নিয়ে কুঁজো হয়ে হাঁটে
বই শুধু নাম্বার পেতে,অর্জন নাই ওটা হতে।
টেবিলের পাশে মা ছেলেকে মুখে তুলে খাওয়ায়
জেগে আছে মা যতক্ষণ হয়নি পড়া ছেলের।
ছেলে কেমন ঝিমিয়ে যাচ্ছে, করে মাথা ব্যথা
ডাক্তার সব দেখিয়ে যাচ্ছি সারছে না সে ব্যথা
কৌটার দুধ, হরলিক্স,ডিম সবই তো দিচ্ছি
তবুও কেন ছেলে রুগ্ন, ও বাড়ির রানা বেশ!
গাইড বুক নিয়ে মা ব্যস্ত, ক'টা কিনে দিবে!
রানা যদি হয় ফার্রষ্ট দেখানো যাবে কি মুখ?
বাহিরেতে একা যাবে না ছেলে, অনেক বিপত্তি
মানুষ বেশে বিকৃতরা আছে ওত পেতে।
যেখানেই যাক মা যাবে সাথে নয় তো বাবা
সন্তান একটু আড়ালে হলে দুঃচিন্তায় থাকা।
খেলাধুলা মানে ছেলে জানে শুধু কম্পিউটারে গেম্স
কখনও দেখে ইংলিশ কার্টুন, বাংলাতে নাই জ্ঞান।
কম্পিউটার, ট্যাবে যুদ্ধ খেলে মনটা হয় যান্ত্রিক
খোলা মাঠ তারা দেখেনি কখনো, মনটা তাই বন্দী।
অল্প বয়সে হিংসা আর অহমিকা তারা শেখে।
আমার আছে এটা সেটা, তোমার আছে কি হে?
কাড়ি কাড়ি টাকা ছেলের পিছনে এ বয়সেই লাগে
মোটা অঙ্কের ডোনেশন দিয়ে স্কুল-কলেজ খোঁজে।
কখনো তারা বেড়াতে যায় মিনি চিড়িয়াখানা
হাস-মুরগি দেখেই তারা আনন্দে আটখানা।
বাবা-মা ভাবে ছেলে আমার খুব মজা পেল
স্বাধীনতার গন্ডিটা খুবই ছোট হয়ে এলো।