সাঁওতালি মাহালি
পাকা ডুমুর খাওয়ালি
ভাসুরকে ভাত দিলি ঝুমকা দেখালি।
মনে তোর কি আছে
মরদ নাই তোর কাছে
ফুল আসে মৌল গাছে
কেন্দ পাতার বিড়ি খাওয়ালি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।।
পলাশে সিমুলে রাঙা
ফাগুন মাসে করলি সাঙা
কেনে তোর মনটা ভাঙা
পেঁচার মতন মুখ বাঁকালি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।
ডাহুক ডাকা দুপুরে
সুর তুলিস নুপূরে
এঁটো বাসন পুকুরে ধুলি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।।
মারাং বুরুর বাথানে
মৌল গাছের হাথানে
জল পড়ে ছাতা নে
অকারণে চুল ভিজালি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।
নদীর বাঁকে চাতালে
মদ খেছে মাতালে
দলমার দু দাঁতালে একাই হঠালি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।
মরদটা তোর হাবাগোবা
পুকুর সে নয় এঁদো ডোবা
সব দেখেও থাকে বোবা
বেমরদের মন মাতালি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।
ডুবে ডুবে কুড়াস ঝিনুক
তার সঙ্গে গুগলি শামুক
ভাসুরটা যে বড়ই কামুক,
কেমনে তার বুক ফাটালি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।
গড় করি পায়ে তোর
গতরে তোর খুব জোর
রাতবিরেতে ঘুমের ঘোর
চোখে চোখে কেনে পটালি।
ভাসুরকে ঝূমকা দেখালি।।
এটাই কি তোর ছদ্মবেশ
নাই কি তার অবশেষ
হবি যখন পক্ককেশ
মরদটাকে শুধুই কাঁদালি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।।
চৈতে না ফাগুনে
জ্বলিস তেলে-বেগুনে
মনের পোড়া আগুনে
মরলি নিজে তাকেও যে মারলি।
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।।
ধামসা মাদল বিতানে
বাজে মাথা-সিতানে
বোল ফুটে সে তানে
গোটা গতর শুধুই দুলালি
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।
নিমতেলের গন্ধে
থাকিস কেমন ছন্দে
মরদ পড়ে ধন্দে
জেনেশুনে লোক হাঁসালি
ভাসুরকে ঝুমকা দেখালি।।