বনে ডাকে রাতজাগা কোন পাখি,
পেঁচার মুখ রক্তে লালে লাল,
আলসে ভরা তোমার দু'টি আঁখি,
ঘুমের দেশে বাইছ তোমার কাল।
সিঁধ কেটেছে মনের দেয়াল জুড়ে,
নিশি ডাকা অন্ধকারময় রাতে,
চড়বড়িয়ে পায়রা গেল উড়ে,
শুন্য খাঁচা দেখলে উঠে প্রাতে।
শেয়াল ডাকে বুক উঠল কেঁপে,
মনের মানুষ ফানুস হয়ে হাওয়া,
চড়চড়িয়ে পারদ উঠল চেপে,
জ্বরের ঘোরে নিত্য আসা যাওয়া।
সুযোগ পেয়ে লুটতে মজা তার,
রাতের কুটুম রাতেই আসে যায়,
হোক না যতই অভাবের সংসার,
যায় না স্বভাব ম'লেও বুঝি হায় !
হাঁস মুরগির ছানাপোনা পেলে,
সাধ করে কেউ বাঘ শিকারে যায়?
হিংস্র শ্বাপদ আপদ বিপদ এলে,
লেজ গুটিয়ে ঝোপেতে লুকায়।
ভুল বকছ হয়ত জ্বরের ঘোরে,
পাগল ভেবে ভুল করি নে তাও,
রাতের কুটুম যাক না শুঁড়ির দোরে,
জ্বর ছাড়লে বাইবে ঘামে নাও।
রাতের বেলা একলা উঠে ছাদে,
মরবে বলে দিলে মরণ ঝাঁপ,
দু'দিন বই হয়তো সবাই কাঁদে,
অন্ত্যেষ্টির হয় না কোনো মাপ।
চন্দন কাঠ বেজায় দামী বলে,
কাঠ কয়লার অন্তর দিয়ে ঢাকি,
হয় তো তুমি চিরবিদায় নিলে,
সৎকার কাজ রয় না পড়ে বাকি।
পেতাম যদি ইচ্ছামৃত্যুবর
ইচ্ছে করে হয়ে যেতাম ভ্যানিশ,
দেহখানি রাখি' ধোঁয়ার পর,
বলত না কেউ করে দিলাম ফিনিশ।
শ্মশান গোর সব থাকতে খালি,
এখনও কেন ভাসে দেহ জলে,
গণকবর নয়কো শক্তিশালী,
ইচ্ছে- ভ্যানিশ হয়ে যেতাম বলে।