সাম্যের কথা বেদনার ব্যথা, বলে গেলো নজরুল,
সমাজ সেবিতে মানুষ হইতে, থাকোগো মানবকূল।
রবীন্দ্র গাইলো জাতীয়-সঙ্গীত, মা ডেকে একজন,
জাতিরে গঠিতে শব্দরসে, দেশের মায়া-পন।
শুনি আর আমি ভাবনা-সিক্ত, ভাবিয়া ভাবিয়া রই,
একটা নজরুল শুনিনি আমি, ছিলাম কোথা কই?
শব্দ কঠিন শব্দের অর্থে, যদিগো ভয় থাকে,
তবু তুমি পড়ো নজরুল বুলি, ইমু ইমরান হাকে।
শিখবে তুমি জগত-জন্ম, হয়েছে কিসের তরে,
তা ছাড়িয়া চলিছে মানব, কেমন কেমন করে!
লালন সাইজী ওগো দ্যাখোনি, শব্দের মহাজন,
গানের সুরে গাইছে কথা, মানুষ করিয়া ধন।
শুধুই দেখি, শোনার জন্যে গাওয়া আর শোনা হয়,
শব্দের অর্থে না থাকিয়া, সুরের বঞ্চনায়।
কত যে শব্দে কত যে জনা, গাহিলো জয়গান,
বুজেও না বুজলে তুমি, কোথায় তোমার মান?
বলেনি কেউ ক্ষতির বাক্য, দেখোগো চাহিয়া,
তোমার জীবন অর্থে বহিবে, যদি চলো মানিয়া।
সবাই রেখেছে সর্বমনে, গড়িতে পূন্যে-মান,
সৃষ্টে ভূমি অভেদ স্রষ্টার, আসল মহা-দান।
ভেদ করিয়া যতই গড়াও, পাহাড়-জমি-ধন।
অভেদ দ্যাখো সর্বাতরী, বানায় সষ্ট্রাজন।