জগতের যত নিয়ম নীতি, বানালো সমাজ-জনা,
আমার মত অবুঝের কাছে, সব-ই যে বিরম্ভনা।
মানবতাবোধ হারিয়ে জাতি, রক্ষা করছে সমাজ,
কোথায় মানব করছে তোমার, জন্ম-স্বার্থ বিরাজ?

ধর্ম বর্নের উর্ধ্বে দেখো, হয় মানবিক জয়,
শ্রেষ্ঠ প্রাণের উদারহীনতা, করছে শুধু ক্ষয়।
পরিবার হলো পাঠশালা এক, সকল শিশুর তরে,
সেথায় শিশু বাড়ছে শুধুই, সমাজ-নিয়ম ভারে।

পূন্যে বহে মানব সেবা, কহিলো কত-জনা,
সেবার প্রসার না ভাবিয়া, আপন স্বার্থ-মনা।
সাধ্য যদি না থাকে তার, সেবা কেমনে করে!
হাসিয়া তুমি কথা ও কাজে, মাতাও জগৎ নীড়ে।

ভাই ও সুজন কত প্রিয়জন, নিয়মের লেনা-দেনায়,
অপ্রয়োজন আদান-প্রদান, বজায় রাখছে ধরায়।
খাদ্য-বস্ত্র ভুরি ভুরি যার, দেখছি তাকেই দাও,
যার নাই তার কেউ নাই, যেনো কষ্ট করিয়া খাও।

সবই চলিছে জগত-নিয়মে, স্রষ্টার মহা-দান,
মানবের তরে মানব আজকে, তুচ্ছ জীবের শান।
ভাবছো যত গড়ছো আপন, সমাজ-নিয়ম তুমি,
মনোভাবে সাম্যতার কথা, বলছি শুধুই আমি।।