রানা গাইলো তাবিব কথা, সুর ও ছন্দ ছন্দে,
কাটাতার খুলে; বিশ্বপিতার সন্তান রহিবে বন্দে।
শিক্ষা নিয়ে চিন্তা কি শুধুই, ঘর-ও নাইকো রানার,
বাজেটের টাকায় মৌলিক খাতায়, অভাব চাহিদার।
বেজায় ভালো, বড্ড সহজ বাক্যে বলেছে,
দৃশ্যপটে লোম শিহরণ, জল হয়ে ঝড়েছে।
কিসের তরে এত প্রয়োজন, বিটিভি উন্নয়ন?
মৌলিক যার ঠিক নাই, তার বিনোদন-প্রনয়ণ।

দুখের যত কথা আছে, আমিও বলে যাই,
জীবনের দামে সেবার প্রসার, তুচ্ছ আকারে ছাই।
শিক্ষা নিয়ে বাড়াবাড়ি আর, নিয়ম বাড়ালো কত,
আবার শুনি পন্য সেবায়, শিক্ষার ছাড়-পত্র।
অর্থে বহে গুরু-দান, যার পাতাতে শব্দ টাকার,
মান-উন্নয়ন হারিয়ে গেলো, মৌলিক একটি চাকার।
চিকিৎসা সেবার প্রয়োগে এসে, আহারে এমন চিত্র!
সেবার জন্য যারাই রয়েছে, ব্যবহারে যেনো ক্ষীপ্ত।
মানবতাহীন ব্যবসা এটে, বসলো চক্রমতী,
অর্থে বহে সেবার পণে, হচ্ছে যে কোটিপতি।

বানিজ্য করে জীবন দামে, সেবার খাতাটি ফাকা,
নিম্ন সেবার অধিকার পেলাম, আরও একটি চাকা।
মানবের টাকায় বড় হয়ে যারা, মানব ক্ষতির কারন,
তাদের মধ্যে এরাই ছোট, কে আর করিবে বারণ?
আবাস নাইকো পাগলের, দেখি সর্বহারা মানুষ,
কোথায় আমার অধিকার, আমি দেখছি চোখে ফানুস।
আহারে আহা পৌষ ও মাঘে, বস্ত্র চাহিদায়,
কাপনে কাপনে বৃদ্ধা আবাল, এই দেশে মারা যায়।

যে মাটি ফলায় আলুর বহর, একটি গাছের গোড়ায়,
খাদ্য সেবায় আলুর দামটি, এই মাটিতে ফোড়ায়।
কোথাও থাকে পানির দামে, কোথাও পিতল দাম,
নাই যে নীতি খাদ্য-সেবায়, মৌলিক প্রধান নাম।
গ্যাস পানি ও খনিজের দেখি, অবচয় বহমান,
কিসের করো রাজ্যনীতি? ভুলে জীবনের মান।
কত কত অধিকার আছে, দিচ্ছো দিবে বলো,
মৌলিক সব চাহিদার তুমি, মুঠ ভরিয়া তুলো।

যতই করো এদিক সেদিক, প্রয়োগেই প্রমানিত,
সোনার দেশের সোনার মানুষ, করো হে শানিত।
আইনী একটা বিধান হয়ে, মানুষের অধিকার,
নাইকো সুযোগ গরীবের সেথায়, পাইবে প্রতিকার।
বড় ও ধনীর জন্য এ দেশ, এমনটা বেড়েছে বেড়ে,,
তবে কি এ দেশ স্বাধীন হইলো, তাদের সেবা কে ঘিরে।
অশ্রুপাতের এ চোখ আমার, লালচে ভীষন জ্বলে,
পাগল আমি আমার কথায়, দেশ-নীতি কি চলে?