সাইজী পেলো নামটি তাহার, লালন শব্দে ডেকে,
পালিত সে গুরুমহাশয়, লালিতে লালন শাখে।
নাম দিয়ে যে আসে না কিছুই, ভয়ংকর পৃথিবী'তে,
আসে ও বলে বেড়ায় লোকে, ব্যবহার কীর্তিতে।

জাতের উর্ধ্বে ভিন্নধর্মী, সেবাতে করিলো ধারণ,
উজানে ভাসা মানুষের ভেলা, টানিয়া হইলো লালন।
সাধুবাদ ধ্বনি যুগের জয়শ্রী, মানুষ্য আচরণে,
ধর্ম জাতের নাই ভেদাভেদ, শান্তির আবরণে।

সেবাতে যদি মানুষ গড়ায়, শিখবে আদব-শ্রাব্য,
তাইতো গড়েছে লালন গুরুর, মহাকাল মহাকাব্য।
শূন্য কুঠির দিয়েছে যে নীড়, শান্তিপ্রিয় মনে,
সবাই শূন্য ভবপাড়ে হায়, লিখেছে শব্দ বুনে।

জাতের ভেদাভেদ গড়েছে মানব, নিজের স্বার্থ ঝপে,
স্বার্থ কি সব জগতের লাগি? বুঝলে না মন সপে।
গাহিলো লালন বুজালো ধরন, ধরিলো ফকির বেশ,
স্রষ্টা সেবাই প্রাণের সেবা, ধরাতে রাখিলো রেশ।