অনেক আদরে বেড়ে উঠা, সন্তান এক জননীর,
পড়াশোনায় বেশ ভালো, নাম ছিলো খাতায় মেধাবীর।
আদরের শিশু বড় হয়ে, গেলো বিশ্ববিদ্যালয়ে,
মায়ের মুখে বিশাল ক্ষরা, সমান হিমালয়ে।
চোখের জ্যোতি কমে গিয়েছে, পড়িতে পড়িতে ছেলের,
কিভাবে আছে কেমন কাটিছে, মা যে গাছটি ফলের।
এত ভাবনার চিন্তার ঝড়, হঠাৎ বইলো বেগে,
শিক্ষালয়ে শিখার তাপ যে, কেমনে উঠলো জেগে?
মায়ের ছেলেটি স্বার্থে দুটি, কথা কহিলো হেকে,
অমনি ছেলের বিবর্ণ দেহে, জীবনটা হারালো বেকে।
রক্তের সেই ছোপ ছোপ দাগ, মানুষ দেখেছে কত,
বিচার হইবে দেখবে জনতা, আশায় থেকেছে ব্রত।
মায়ের বুকে রক্তের দাগ, একে গেলো যে চিহ্ন,
ছেলেটির সকাল শুরু না হতেই, হয়ে গেলো অপরাহ্ন।
ভারত স্বার্থ নেত্রী পাত্র, দলের ভিন্নকথা,
কি এমন নিজ স্বার্থে ছেলে, লিখেছিলো বারতা?
উচ্চবাক্য ইতিবাক্যে, গাইবো যেমন গান,
মত প্রকাশের স্বাধীন দেশে, কোথায় সে কলতান?
যারা মারলে তাদের চিন্তা, নয়তো শিক্ষাগুরুর,
যতই দেখেছে নিজের স্বার্থে, নেতা হওয়াতে মশুর।
তোমার যেমন মায়ের ব্যদনা, বুজিয়ো মনে মনে,
তেমন অনেক মায়ের শিশু, ডাক পারে মা শুনে।