হ্যালো কেউ কি আছো?
তোমরা কি আমার আহ্বান শুনতে পাও?
মাথা নেড়ে জানান দিতে পারো তোমাদের উপস্থিতি
বেরিয়ে এসো তোমাদের ঘর থেকে -
আমি জানি তোমাদের নিন্মমুখী অনুভূতি
তোমাদের সব ব্যথা করে দেবো দূর
তোমরা আবারো তোমাদের চেনা পথে হেঁটে বেড়াবে
শুধু বলে দাও কোথায় তোমাদের ব্যথা
কোথায় হয়েছো আহত
তোমরা কি দেখাবে তোমাদের ক্ষতগুলো?
তোমাদের কষ্টগুলো আর প্রত্যাবর্তিত হবেনা
দূরের জাহাজ দিগন্তে ধোঁয়া ছেড়ে ভেসে চলে উন্মত্ত তরঙ্গে
তুমিও ভেসে এসেছো ভৈরবী হিন্দোলে
তোমাদের মুখে আড়ষ্টতা, জ্যোতিহীন ক্লান্তি
তোমাদের অস্ফূট সম্ভাষণ -
আমি শুনি নাই!
আমার ছেলেবেলার স্মৃতি
যখন জ্বরের ঘোর -
আমার হাতদুটো মনে হত ভারী বেলুন
এত বছর পেরিয়ে এখনো অনুভূত সেই ব্যথাগুলো
হয়ত তোমরা সেই ব্যথা বুঝবে না-
সেই আমাতে আর এই আমাতে যোজন পার্থক্য
আমি যেন আজ এক শ্রান্ত পদাতিক!
তোমাদের এই ব্যথাগুলো
সূঁচের খোঁচার মত
হয়ত কিঞ্চিৎ অসুস্থতা, কিছুটা অবসাদগ্রস্ততা
দ্রুতই তোমাদের উদ্ধত পদঘাত শুনবে
ক্লান্ত পথ!
তোমরা ধীর পায়ে এগিয়ে যাবে সোনালি তোরণ-দ্বারে
তোমাদের কষ্টগুলো আর প্রত্যাবর্তিত হবেনা -
আমার ছেলেবেলায় -
দৃষ্টি কেড়েছিলো বিশাল এক নৌবহর
আমার চোখের কোনা ঘেঁষে
মুহূর্তেই হারিয়ে গেলো দুর্বার স্রোতে
জীবনের ঢেউয়ে ;কখনো দেখিনি আর!
হাত তুলে সম্ভাষণ জানাই নাই সেই স্মৃতির জাহাজে
আমার শৈশব হয়েছে গত
আমার স্বপ্নগুলো আজ বহুদূর
আমি যেন আজ এক শ্রান্ত পদাতিক।।
- শ্রান্ত পদাতিক
২৮.০৩.২০ উত্তরা