সযতনে, স্বচক্ষে মর্মের দুঃসময় যতো—
তারো বেশি ভুলে জড়ায় ও সুন্দর, সময় তোমাকে
বেহালার রোদটুকু তানপুরাঢঙে বাজে,ঐ শোনো।

একান্ত একাকার কামুক অশ্বারোহী
প্রহরী ঘুমনামা চোখে জগৎ পোড়াও কেন শুধু!
জ্বেলে দিয়ে হঠাৎ নিকষ আলোর আস্ফালন
দুর্নিবার পায়ের কঙ্কাল খুঁড়ে দেখে সলজ্জ সমুদ্র-সাহস
যতোদূর পথ যায় তৃষ্ণার্ত মাহুত পায় কি রত্তিরূপ জল সহসাই?

পাহাড়ি যুবতী শুঁকে ফুল— বাউলরঙ রোদ্দুর মাড়িয়ে একা
স্তনে যার বহুকাল চুমু এঁকে হয়েছে উধাও কোনো কবি!
তাকে সে জেনেছিল ধানগন্ধী যোনির আঁধারে শেষবার
শয্যায় উড়ে গেছে পাখিদেহের ঘ্রান, ঋতুকালীন তন্দ্রা তদ্রূপ
মুক্ত বাতাস মেতেছে জলের মতো, চিরায়ত গানে


সযতনে স্বতন্ত্র সময় যেমন,
খাম জুড়ে ছড়ানো নীল, কিংবা ঘোর রক্তাভ অক্ষর-পুরান
স্মৃতি শেষে ফেরায় সুর যতো। পরাভব আয়োজনে সুন্দরে!