ক.
পাঠশালা ভেঙেছে কবেই...
ডানার আঁধারে লুকোনো স্নেহের কৌশল শেখে নির্বোধ পাখি
অসমাপ্ত আদর পোহালেই ক্ষুধার মানচিত্রে ডোবে শরীর অপঠিত পাণ্ডুলিপি
কেউ শোনেনা শাস্ত্রীয় সময়ের যুদ্ধ বার্তা কাঠপেন্সিলের গান
অহেতুক বেজে চলে বেকুব সাইরেন
ঈগলের ক্ষুব্ধ ডানায় আছড়ে পড়ে সুদর্শন সকাল
প্রতারক দিনের ভূমিকা
কোনো গ্রামে মুদ্রিত নেই মানুষের রাত।
খ.
দীঘল আয়ুরেখা পুড়েছে ঘুমে। আরশের ধ্যানে।
মুখোমুখি শীতার্ত রাত ।আগেই টেরাকোটা এঁকেছে জ্যোৎস্না।
ফসলের মুখ কেড়ে নিতে শিখে গেছে অভাবী সংলাপ।
পেছন পথের ফেরারি ছায়াপ্রলাপ।
ঘটে যাওয়া কিছু একটায় জড়ানো পাপের মঞ্জরী। পুনরুত্থান-প্রহর।মাখে হিমবাহ... নৈঃশব্দ্যে সুবর্ণতায়
আলগা বিনুনিতে ফুল ফোঁটে। তারো ঢের শুদ্ধ সহজিয়া ফ্রেমে
নুপুর ভাঙে গড়াই-দেহেরসোরগোল।
তবু নৃত্যুন্মুখ জীবনচক্র ধাঁধা।
ভুল সুরের পাদটীকা চিনেছে সেই প্রহর।
যাবৎ দীর্ঘশ্বাসগুলো জীর্ণ আর্কাইভ
প্রায় অন্ধ দুটো চোখের সর্বনাম অদ্যাখা আকাশ।