বিশ্বায়ন,ডিজিটালাইজেশন এর নামে ভাষায় ইংরেজির অধিক ব্যবহার – এসবের প্রভাবে আমাদের মাতৃভাষা প্রবহমানতা হারাচ্ছে, নানা বেনোজল ঢুকছে আমাদের ভাষার শরীরে।
ভাষার সমৃদ্ধি নির্ভর করে এর যথাযোগ্য ব্যবহার, চর্চা আর সার্বজনীনতার ওপর। ভাষার সমৃদ্ধি না ঘটলে ক্রমে ক্রমে ভাষা দীন হতে থাকে, এক সময় শত সহস্র শ্যাওলা একে জড়িয়ে ধরে এবং কালের গর্ভে তার ক্রমবিলুপ্তি ঘটতে থাকে।
ভাষা বিকৃত হওয়ার কারনগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে,,,,
বিদেশী ভাষা বিশেষ করে ইংরেজির ঢালাও অনুপ্রবেশ ঘটছে বাংলা ভাষায়, সেই সাথে আরবি-ফার্সি-উর্দু-হিন্দি শব্দ ঢুকে যাচ্ছে । এর ফলে জগাখিচুড়ি ভাষার উদ্ভব হচ্ছে যা বাংলাভাষার বিকৃতি ঘটাচ্ছে; অনেকে এর নাম দিচ্ছেন ‘বাংলিশ’, বা ‘বাংরেজি’।
আমাদের কিশোর তরুণদের মধ্যে বাংলা-ইংরেজি-হিন্দি-উর্দু মিশিয়ে কথা বলার অশুভ প্রবণতা দৃশ্যমান। অন্যকথায় বলা যেতে পারে, দ্বিভাষিক- ত্রি-ভাষিক প্রবণতা বাড়ছে আমাদের শিশু-কিশোরদের মাঝে। আমাদের গণমাধ্যমে ভাষার বিকৃতি সাধন চলছে; এফএম রেডিও, টেলিভিশন, সিনেমায় কিংবা একটি গানে ২ থেকে ৩ ধরনের ভাষা প্রয়োগ করা হয়। বিদেশি ভাষার শব্দের সাথে নানা আঞ্চলিক ও কথ্যভাষার সংমিশ্রণে, অদ্ভুত উচ্চারণে বিকৃতি ঘটানো হচ্ছে, এটি বাংলা ভাষাকে দুর্বল করছে, ভাষার শক্তিমত্তা ক্ষুণ্ন করছে।
মোবাইল ফোনের মেসেজ, ফেসবুক, গুগল, ওয়েবসাইট, ভাইবার অ্যাপস এ নানাবিধ ব্যবহারে বাংলা ভাষার ভুল,বিকৃতি, অপব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে। কিশোর-তরুণ সমাজ এ ধরনের বিকৃত প্রকাশভঙ্গিতে আসক্ত হচ্ছে যা বাংলা ভাষার জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে।
বাংলা বানানের কথা তো বাদ ই দিলাম। বাংলা বানানে তো ১০ এ ৮ টি বানানই ভূল করবে বর্তমান তরুণ সমাজ। আমার মতে সরকার এবং ভাষাবিদদের বাংলা ভাষা ব্যবহারে একটি সুনির্দিষ্ট আইন করা উচিত..!!!!
মোঃ মোজাহিদুর ইসলাম ইমন
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর