, মনুষ্যত্বের লোপ
হাওলাদার ইমন
-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:-:
আলো ঝাল আলো ঝাল,
আঁধার যে ঘনিয়ে এল।
কোন আলোতে হবে তুমি আলোকিত?
সব আলো নিভে গেলে।
আলোর প্রদ্বীপ জ্বলবে কবে?
সাহসী ছেলে ঘুমিয়েই যদি থাকে ভালো।
কে ধরবে আলোর মশাল রাজপথ করতে আলো।
জ্বালিয়ে দে পুড়িয়ে দে,
যারা গনতন্ত্র করতে চায় মুষ্টি বদ্ধ।
কোথায় সেই সোনার ছেলে,
সাহসী মায়ের পুত্র।
কোথায় সেই সোনার ছেলে,
যারা মায়ের ভাষাকে রক্ষার্থে
জীবন করেছে উৎসর্গ।
যারা পুলিশের গুলিতে হয়নি ভীরু,
হয়েছে ক্ষীপ্ত।
কোথায় সেই:- সালাম,বরকত,রফিক,শফিক
তাদের কী আর দেখা মিলবেনা
রাজপথের কোলাহলে?
জ্বালিয়ে দে পুড়িয়ে দে,
কালো বাজারির হাত।
ওরে তোরা মনুষ্যত্ব কে দিয়ে জলাঞ্জলি,
হোসনা কাপুরুষ এর তরবারি।
যাদের রাস্তায় দেখিলে নারী,
মনুষ্যত্ব লোপ পেয়ে পশুত্ত যাগে তারাতাড়ি।
ওরে তোরা হোসনা তাদের তরবারি।
যারা মায়ের বয়সী দেখিলে নারী,
বলে আর কি সইতে পারি।
ওরে তোরা হোসনা তাদের তরবারি।
যারা নারীর দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে;
তাদের সর্বত্র জুড়িয়া করে কলঙ্কের ছড়াছড়ি।
আয়রে ফিরে সোনার ছেলে:-
রফিক,শফিক,বরকত।
তোদের সোনার বাংলা;
আজ ঘিরে ধরেছে শকুনে।
জ্বালিয়ে দে পুড়িয়ে দে,
কলুষিত পূর্ণ দিনকে।
আবার কবে বাজবে সোনার বাজনা;
সোনার বাংলাতে?
সেই আসাতেই বসে আছে হাজার মায়েতে!
আয়রে ফিরে সোনার ছেলে;
অগ্নি জ্বলা দল।
তোদের মায়ের চোখ যে আজ অশ্রুতে টলমল!
এইকি মোদের স্বাধীনতা:
এইকি মোদের বাঁচার অধিকার
জ্বালিয়ে দে পুড়িয়ে দে।
সকল আধারকে করে ছেদ:
নিয়ে আয় এক সতেজ সকাল।
সোনার ছেলে শেখ মুজিবের।