হাজারো প্রানের বাতিঘর
ইমন হাওলাদার
------------

দর্শনা উচ্চ বিদ্যালয়
যা দিয়েছে মোদের এক জীবনে
তা ভুলিব কেমনে।
মানব হৃদয়ে ছিল
জ্ঞানের শূন্যতা,
দর্শনা উচ্চ বিদ্যালয়
দিয়েছে পরিপূর্ণতা।
বুদ্ধিজীবী,নামি-দামি জনতার
মিলনমেলা বসেছে আজ অজপাড়া গাঁয়।
কল্পনা আজ বাস্তবতা ছুঁবে
দর্শনা উচ্চ বিদ্যালয়।
সে নয় কেবলি বিদ্যাপিঠ ,সে ধাত্রী
সে আলোকিত এক সূচনার নাম,
কালো মেঘময় আকাশে এসেছে
সূর্য কিরন হয়ে।
সে উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তার আলোতে আলোকিত হলো
দর্শনা,আইসার,কমলাপুর কত শত গ্রাম।
অক্ষর জ্ঞানহীন গ্রাম আজ
বাংলাদেশের রোল মডেল।
কতনা ডাক্তার,উকিল,ম্যাজিস্ট্রেট,
বিসিএস ক্যাডার,জ্ঞানী,গুনী
নিয়েছে তোমার পদধূলি।
তুমি মোদের দর্শনা উচ্চ বিদ্যালয়।
কতনা স্মৃতির বাধন ঠেলে,
ছেড়ে যেতে হয়েছে তোমাকে ফেলে।
বুকের বাম পাশে মরমি ব্যথা
মনে হইলে তোমারি কথা।
তুমি ছাত্র গড়ার কারিগর।
বাতিঘরে থাকে বাতি
তুমি হলে আলোর দিশারি।
সঠিক পথের সুচনা কারি।
নীল আকাশের শুকতারা
অন্ধকার আচ্ছন্ন হৃদয়ে
আলো দিলে জ্বেলে।
তুমি মোদের দর্শন উচ্চ বিদ্যালয়।
১৯৫৩ সালে মাদারীপুর জেলার,
কালকিনি উপজেলার বুকে এলে।
তোমার সৃষ্টিতে নতুনত্বের সন্ধানে
নেমেছে দেখ কতনা ছেলে পুলে।
তোমার শিক্ষায় আলোকিত হৃদয়
আজ উন্নতির কথা বলে।
গ্রামে লেগেছে শহরের ছোঁয়া
কুসংস্কার গেছে চলে।
মানুষ বদলেছে,বদলেছে সমাজ
শিক্ষার আলো পেয়ে।