. "দশ" দিবসে বাঙালি
ইমন হাওলাদার
------**-----**-----**-----
মুক্তিযুদ্ধ এক আলোক চিত্রের নাম!
যার সাথে জড়িয়ে আছে_
বাঙালির ঘাম।
১৯৪৭ এ বাঙালির আকাশে_
কালো মেঘের সূচনা ঘটে।
১৯৫২ তে তা আরো ভয়ংকর
রুপে জাগ্রত হয়ে ওঠে।
এ মেঘের বৃষ্টিতে গুলি পড়ে_
আকাশ হতে,
দেহ হয় ছারখার।
তবু বাঙালিরা ভয়ে আতংকিত না হয়ে,
বাংলা ভাষার বুকে প্রদ্বীপ জ্বালায়_
আরেক বার।।
হয়ে ঐক্যবদ্ধ।।
বাঙালি হয়ে ওঠে শক্ত,
নিজের অধিকার আদায়ে_
রাজপথে দেয় রক্ত।
রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ,
প্রশাসন কাজ করে ধরে দানবের হাত।।
ফলে বাঙালিদের অধিকার আদায়ে_
পেরতে হয় সহস্র ঘাত প্রতি-ঘাত।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের ফলে,
বাঙালির জাতীয়তাবাদ জাগ্রত হলে,
বাঙালি হয় ঐক্যবদ্ধ।।
১৯৫৯ সালে মৌলিক গনতন্ত্রের_
আগমন ঘটে,
বাহক আইয়ুব খান।।
১৯৬২ সালে হয় শিক্ষা আন্দোলন;
বাঙালিরা বুঝতে পারে!
নিজের অধিকার আদায় করে;
কোরে আন্দোলন।।
১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব
৬ দফা দিলে;
শাসক গোষ্ঠী বুঝতে পারে!
তাদের ক্ষমতা যাবে চলে,
যদি ৬ দফা পায় লিখিত জীবন।।
তাইতো তারা নস্যাত করতে ৬ দফা কে,
ঘোর ষড়যন্ত্র শুরু করে।
১৯৬৮ সালে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে বলে
এবার তোমরা কোথায় যাবে
করবো প্রহসন।।
১৯৬৯ সালে গনঅভ্যুত্থান শুরু হলে;
পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা
যায় বিফলে।।
১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হলে,
পাকিস্তান সরকার বাঙালির হাতে
ক্ষমতা ছাড়তে তাল-বাহানা শুরু করে।
১৯৭১ সালে শেখ মুজিব দেয়
৭ ই মার্চের ভাষণ।
বাঙালির বুকে জেগে উঠে;
দেশকে স্বাধীন করার এক
অমরন সংগ্রামের চেতনা।।
তাইতো ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর
৯ মাস যুদ্ধ করে_
ছিনিয়ে আনে পতাকাকে
সহ বিজয়ের উল্লাস।
দেশকে ভালোবেসে ফেলে হাজারো
পাকিস্তানের লাশ।
নিজেদের প্রানকে উৎসর্গ করে,
দিয়ে গেছে বাংলাদেশকে
পৃথিবীর মানচিত্রে,
স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা।।
৩০ লক্ষ শহীদ হলো,
মা বোন ইজ্জত দিল।
দেশকে করতে শত্রু মুক্ত।
লাল সবুজের পতাকাতে
৩০ লক্ষ শহীদের জীবন
জড়িয়ে আছে।
আছে মা বোনদের
ইজ্জতের সম্মান।
গাহী সাম্যের গান।।