বৃক্ষরা দাঁড়িয়ে রয়েছে অনাদি অনন্ত -
দূর থেকে বহুদূর যতদূর দূর দিগন্ত!
বৃক্ষেরা ঘিরে রেখেছে আমায় নিবিড় বন্ধনে
বৃক্ষ বৃক্ষ সারি সারি জগত ব্যপৃত রণাঙ্গনে
জীবন তরে দাঁড়িয়ে ওরা ভেদীয়া কঠিন মাটি তল
ঝড় ঝঞ্ঝাও ভাঙে না কভু বৃক্ষ থাকে অবিচল
বৃক্ষের সাথে রয়েছে আমার হৃদয়ের আলীঙ্গন
দিকে দিকে যেন বিছিয়ে রয়েছে জীবনের সমাগম
সবুজে অবুঝে আপন করে সবুজে সবুজ ধরাতল
সুষমা শোভিত পৃথিবী উত্তরী আসমুদ্র হিমাচল
দৃঢ় পদে দাঁড়িয়ে থাকে ওরা বৃক্ষ চির নির্মল
ঝড় ঝঞ্ঝায় ও ভাঙে না কভু বৃক্ষেদের মনবল

আমি দিগন্তের পথ ধরে হেটেছি শূন্য হাতে বড়ই একা
দিগন্তের পর দিগন্ত জুড়ে শুধুই বৃক্ষের সাথে দেখা
আমি শূন্য হাতে এসেছি একা একা তাই
বৃক্ষের সাথে প্রান খুলে কথা বলি
মনের দরজা জানালা খুলে নিত্য দেই তারে অঞ্জলী

জাগেরে জাগেরে জাগে অদৃশ্য বন্ধন
পাতায় পাতায় জাগে প্রানের স্পন্দন
শাখায় শাখায় থাকে অটুট বন্ধন
অন্তরের অন্তরঙ্গ যেমন অন্তরের অঙ্গন
জাগে জড়তা বহতার সমস্ত সীমানা
জাগে অন্দর আমার কাব্য চরনের সাধনা
ডালপালা নাচে নৃত্যালোচন
জাগেরে জাগেরে জাগে অদৃশ্য নয়ন

স্বর্গ রচে বিশ্বলোকে বৃক্ষ যেন মাতৃ রূপী  
কৃষ্ণ কেশে বক্ষ প্রসারিত রূপ রস প্রান পল্লবী
বৃক্ষ তুমি পৃথিবী আপন ভূ তল থেকে আকাশ যাপন
নিদ্রা যাত্রী ধরনী ধাত্রী বারে বারে যার প্রত্যাগমন
শক্ত করে পৃথ্বী ধরে আকাশ ছুঁতে চায়
শিকড় গুলো ঘিরে ধরে তার আপন মাটি মায়
ফুলের সাথে সখ্যতা করে চলে ক্ষুদ্র জীবন
ফুলেরা তাই ঝরে পড়ে থাকে না বেশি ক্ষন
ডালে ডালে বাসা বেঁধে পাখিদের কোলাহল
পৃথিবীর সবগুলো প্রান যেন বৃক্ষদের হলাহল
পাতায় পাতায় প্রানবন্ততা উচ্ছ্বাস সারাক্ষণ
আপন করে নিতে চায় যেন পৃথিবীর প্রতি ক্ষন

হে বৃক্ষ আমাদের নীরব বন্ধু ,হে সহিষ্ণু প্রান
কঠিন মাটি ভেদ করে উঠো, সূর্যের আহ্বান
তোমার সুখ দুঃখ অনুভূতি চির নিদ্রিত
তোমার সুধা মনের ক্ষুধা পৃথিবী বুকে অমৃত
জানি হাত বাড়িয়ে রয়েছ বন্ধু আপন করে নিতে
ভরিয়ে দিলে আপন হাতে ফুল ফল ছায়া হিতে
উদার দানে বায়ু বানে টুটায়ে গেল জরা
কত লোকে কত যুগে গাইল তোমার গান
বৃক্ষের ছায় পদলোকে তপস্যা পেল প্রান