জুলাই বিপ্লবের চেতনা -- শহীদেরা মরে না
যত বিপ্লব বিদ্রোহ সংগ্ৰাম সুপেয় --ছাত্ররা অজেয়
দাসত্বের শৃঙ্খল একদিন তোমার পীঠস্থান হবে রক্তিম
যদি না হৃদয় থাকে সেই চেতনা অনুভূতি দেশপ্রেম গভীরতম
চেতনাহীন জাতি মরে যায় পরাধীনতা ওদের গ্ৰাস করে নেয়
শত সহস্র জঞ্জাল এসে বাসা বাঁধে উর্ধ্ব শিরে
উপলব্ধে জ্ঞান যখন পিছু পরে রয়
ডেকে আনে নিত্য ধ্বংসের সংশয়
বেদনার চিহ্ন আঁকা সৈনিক মূঢ় বিমুক
পিছু ডাকে তারে পরাধীনতার অসুখ
অনেক বিক্ষুব্ধ স্মৃতি রাত্রির বিদীর্ণ প্রাতে
প্রত্যাহ মিত্যু হোক শত্রুর আঘাতে
অস্ত্রের ঝনঝনানি আমাদের কন্ঠ রোধে করে
আমরা পিছু হটবার নই কভু
ওদের নিষিদ্ধ আয়োজন লেবাস বিভ্রম
আমরা বিবর্ন চোখের অজস্র পরিভ্রম
আমাদের সংঘবদ্ধ চেতনায় অঙ্কুরিত মুক্তির বীজ
রক্ত নিশায় উদগ্রীব জনে আনত উপহার --তিক্ত রক্ত রুধির
সেই সত্ত্বা যাকে আঁকড়ে ধরা উর্ধ্ব শিরে
সেই সত্ত্বা সহসা পিছু টেনে ধরে--স্বৈরাচারে
যা কিছু রহিত তাই নিয়েই গড়া দেশ
পরিবর্তন অতি সত্বর হৃদয় নিঙরে আঁকা স্বদেশ
ধ্বংস তীলক করতে পারে নিঃশেষ
অসীমের সাথে লড়াইয়ের পথ প্রশস্ত
তারুণ্য তোমার বিচ্ছুরিত আগুন
রক্তহীন প্রানেও ফুটাবে ফাগুন
বলিষ্ঠ কদমে জলন্ত আগুন মুখের আত্মসমর্পণ
শ্লোগানে শ্লোগানে জেগে ওঠবে জনপদ
তারুণ্যের আঘাতে আঘাতে স্বৈরাচারী হবে মহাক্রূদ্ধ
শক্তির দাপটে অস্ত্র মুখে মৃতপ্রায় দেশ--বেঁধে যাবে জনযুদ্ধ
লাঞ্ছিত দিনগুলো পেছনে ফেলে ক্রমাগত জন শিখর
যুদ্ধের ময়দান থেকে কভু পালিয়ে বেরায় না
মিত্যু কাঁপানো ছাত্র সেনার দল
কালের আবর্তনে মিত্যুর পরোয়ানা নিয়ে বারবার আসবে ভয়ংকর
মূর্ছিত শহরে আতঙ্ক মৃত মানুষের স্তুপ--
ভীরুতাকে নখরে উপরে ফেলে সনিগ্ধ চোখে আগামীর বাংলাদেশ
তোমারা না এলে কি করে জমবে আমাদের মৌন মিছিল
তারুণ্যের যৌবনে জনতার সংগ্রাম চিরদিন আকাশ নীলিন