স্তন্য ভেজা মাটি আমার সারাটি অঙ্গে মাখি
সেই মাটিতে জন্মে মাগো জুড়ালো এই আঁখি
শ্যাম সুন্দর অজরী প্লাবিত তৃণ তণু দেহ
মাটি দিয়ে গড়া সে যে মাখিয়ে মায়ের স্নেহ
সেই মাটিরে চিড়ে মোরা করি চাষ বাস
সোনার ফসল ঘরে তোলে পুড়িল মোদের আশ
ধৈর্য তাহার পর্বত ঊর্ধ্ব সন্তান সুখে সুখ
সবার তরে উজাড় করে বিছায়ে দিল বুক
সন্তান সুখে মিতৃ মায় ভোগে সারা জনম ভর
কেমনে বল ভূলিবি তাহারে কেমনে করিবি পর
মিষ্টি সুধা গন্ধ এমন আর পাবি কোথায় রে
কান পেতে শুন মাটির কথা হাত বাড়িয়ে দে
বকুল যূঁথির বিলাপ যদি বাজে কভূ প্রাণে
আয় ফিরে আয় আপন নীড়ে আপন মাটির টানে
মাটির টানে মাটির ঘ্রাণে আয় ফিরে এই বেলা
কেমনে বল আর সেই মাটিরে করবি অবহেলা
দূর্বা ঘাস আর শেফালী ফুলে নেবে রে ভাই জড়িয়ে
ঘুমিয়ে যখন থাকবি সেথায় দেবে সুভাস ছড়িয়ে
কাস্তে কোধাল হাতে ধর গান গেয়ে টান হাল
মাটি দেবে আপন সাড়া রাখবে মধুর তাল
ফুল ফসলীর বাণে রে ভাই ভরিয়ে দেরে ধরা
তুর জিনিস তুই একাই নিস নিস না মাটির খরা
বুকের আঁধারে ছড়ানো তার হাজারো রতন
খাঁটি সোনা ফলবে সেথায় করলে রে একটু যতন
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলি কনায় বিছানো সোনার ধূল
সোনামাখা মুখখানি সোনামুখ যেন মাটিরই পুতুল