তার পায়ের ঐ মাদুলি বেয়ে রাত্রি যেন নামে
সেই শিহরণ শিশিরের মতো যাচ্ছি ঘেমে ঘেমে
তার ছায়ার সখ্যতা উদাস তবু কম্পিত আমার মন
প্রনয়ের সাথে মিশেছে যেন ভাবছি সে কোন ক্ষন
একটি মেয়ে যার শরীর অতি নোংরা দূর্গন্দময় ও দূষিত
কিন্তু প্রেম সুরভিত সুরভির মত কত কাল যেন ব্যাপৃত
তার হৃদয় গহীনে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য তার চোখের পলকে
মন আর মননে সুরভিত সে পুলক দীর্ঘ প্রতীক্ষায়
সেই রাত্রির মায়ামোহ উদাসীন নিস্তব্ধতা কোন আচমকা শব্দে উৎফুল
ছরিয়ে তার কেশের পালকে ডুবে থাকি আমি বিনিদ্র
তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠে যেন তার সেই মুখশ্রী ছবিটা
সেই কৃশ কালো মেয়ে তবু তার মুখের সেই সৌন্দর্যময় কথা
সেই মুখে যেন পৃথিবীর সব সৌন্দর্য প্রতিমার ছাপ
আমি অহর্নিশি সাঁতরে বেরিয়ে সেখানে দেই দৌড় ঝাপ
সুষুমার যেন সকল শোভা পেরিয়ে গেছে অভিযাত্রী
তারপর আমি সেখানে গেলাম অতি নিকট তখন দিন রাত্রি
ক্লান্ত দুপুর উদাস বিকেল সব সীমানা ছাড়িয়ে
যখন আমি পেলাম তাকে নিলাম বুকে জড়িয়ে
ঘোমটা আড়ের হাসি যেন পাপড়ি রাঙা ভোর
এই পথিকের জন্য তোমার দোর খোলো গো দোর