এই যে বাতাস দক্ষিণ বাহু সাগর সম নদী
জলের ঘুঙুর নির্ঘুটে ভাই বাজছে নিরবধি
এই যে শহর ত্রিমোহনা এই আমাদের চাঁদপুর
পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ায় ইলিশ যেথা ভরপুর
খালে বিলে ঝিলের ঝিলে বিশাল যে তার বহর
পদ্মা মেঘনার সঙ্গম সেথা উত্তাল পাতাল লহর
এই যে শহর নদীর চর এই আমাদের চাঁদপুর
অবারিত সবুজ মাঠ আর ফসলী ক্ষেতে ভরপুর
নদীর তীরে বাস করে যে রাখাল কৃষক জেলে
তাদের মধ্যে আমিও ভাই এই মেঘনা তীরের ছেলে
পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ার ত্রিমোহনার তীরে
নান্দনিক এক শহর আছে রাখছে আমায় ঘিরে
এই যে নদী খরস্রোতা এখানে ভাঙে ওখানে জাগে
ভাঙা গড়ার খেলা চলে মানুষগুলোর জীবন মাঝে
মানুষগুলো বেঁচে আছে নদীকে আজো পুঁজি করে
দিন শেষে পাড়ি দেয় উত্তাল করা নদীর তীরে
বিশাল বিশাল নদী যেন তার কুল কিনারা নাই
নদীর মাঝেই আমি আমার অতীত খুঁজে পাই
এই যে নদী নদীর তীর জাল বুনেছে জেলে
এরা সবাই চাঁদপুরের মেঘনা তীরের ছেলে
মেঘনা যেন মায়ের মত ওদের সুখে দুখে
এসব তুমি দেখবে যে ভাই চাঁদপুরেতে এলে
এই যে নদী উতাল পাতাল এই নদীটির মুখ
রূপে যৌবনে ভরা নদী মৌসুমে ভরা বুক
এই যে দেখ নীল আকাশে সাদা মেঘের খেলা
জলের চরে পাল তুলে ঘাস ফুলেরা দিচ্ছে যে ভাই দোলা
নদীর জলে নৌকা চলে পাল তুলে
পালের বাতাস আদর করে যেন দিচ্ছে তোমায় ভুলে
এই যে মানুষ মেঘনা পাড়ের ওদের জীবন যাপন
সহজ সরল মানুষগুলো কেমন যেন আপন
এই যে ক্ষেত ফসল ভরা এই নদীটির কুলে
এর চেয়ে ভাই শ্যামল ফসল কোথাও কি ভাই দুলে
এই যে মাছ মাছের বাজার ইলিশ সারি সারি
রুই কাতল বোয়াল বিলের চাঁদপুরে দাও পাড়ি
এই যে দেখ শাপলা বিলে গায়ের বধূ শালুক তুলে
কলসী কাঁখে একে বেঁকে যায় নদীটির তীরে
তখন আমার মনে হয় আমি এখন চাঁদপুরে
এই যে দেখ মাঝি ভাই সাহসী শক্ত হাতে নোঙর তুলে
এই বয়সে কেমন যেন জোয়ান জোয়ান তেজ
এরা ভাই চাঁদপুরের মেঘনা তাহার দেশ
এই যে নদী নদীর ঘাট এত এত মাছের হাট
নদীর বুকে নোঙর তুলে বিশাল বিশাল জলের কলে
মাইলের পর মাইল থেকে শুনবে ওরা আওয়াজ তুলে
এই যে রাখাল গরু চড়ায় এই নদীরটির বিশাল তীরে
এত বিস্তৃর্ণ নদীর তীর কেবল চাঁদপুরেই ফিরে ফিরে
এই যে দেখ হাজার পাখি ডাহুক শালিক বক
নগ্ন পায়ে নৃত্য করে ধরছে ছোট মাছ
দল বেঁধে সারি সারি দিচ্ছে নদী পাড়ি
নিত্য ওদের আনাগোনা চাঁদপুরেই থাকুক
এই যে দেখ আকাশ যেথা নদীর সাথে মিশে
চাঁদপুর ছাড়া এমন দৃশ্য আর দেখবে কোথা কিসে