বিবর্ন অঘ্রানে যেন ঘুম ঘুম
ঢোলে পরে প্রকৃতি---
ক্লান্তিহীন দিন রাত্রিগুলোর আবডালে
অতিথ পাখিদের পদচারণায়
মুগ্ধতা আর নদীর তীর
এই টুকু শীত
আধো কুয়াশা তারপর শিশির
রুক্ষ ঠোটে অঘ্রানের মলিন হাসি
সোনালী ধানের শেষ কৃত্য শেষে
খেজুর রসে চুম্বন করে মিষ্টি মধু রস যেন
আধো আধো অন্ধকারে অধীর আদিম সুধা
পাতা শাখা লতায় শিশিরেরা আসর জমিয়ে
নক্ষত্রের মতো জ্বলতে থাকে
অনাবিল মুহূর্তে প্রকৃতি
রূপ রস আর স্নিগ্ধ সকাল
তারপর হিমেল বাতাস
এসে ফুরফুরে করে দেয়
বিদীর্ণ করে মানব মেজাজে
পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়ায় দলবেঁধে
নদীটা যেন কতকাল ধরে শান্ত স্থবির
উত্তরী বাতাসে ঝিরঝির
চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসে
পিয়াসী মন ছুটে যায় দূর দূরান্তে
পাখিরা খড়কুটো নিয়ে উড়ে যায়
খড়ের মত আমার মনও যেন
পাখিদের সাথে কোথাও মিশেছে
শিশিরের প্লাবনে স্নিগ্ধ ঘাসেরা
কোন একটা ক্ষেতে ভাঙা ডিঙি নৌকা
তার চারিধারে গজিয়ে উঠেছে
সেখানে বসে নদীর সৌন্দর্য দেখে
অঘ্রানের দিনগুলো পাড় করতে
অসাধারণ ভালো লাগে
দিগন্ত জুড়ে ধানের কাটা গোছা
শালিকের আনাগোনা
খঞ্জনাদের দেশের পরিযায়ীরা
মনে হয় আমাকে ঘিরে উৎসবে
মনে হয় অঘ্রানের উঠোনে উঠোনে
ছড়ানো ধানের সুগন্ধ
শত মাইল দূর থেকেও যেন
অতিথ পাখিদের নিমন্ত্রণ জানায়
এই অগ্ৰহায়নে