হে দেশ আমার চরনে তোমার
তবু দিও গো মোরে ঠাঁই
এই অভাগা তোমারে দেখি বারেবারে
এই অভাগিনীরে তোমারই কথা শুধাই
হে দেশ আমার চির নিদ্রায় যেন
তোমারে খুঁজে পাই
এই অনাহারি এতিম সন্তান তোমার
তোমারে ছাড়া কোথাও স্থান নাই
এই খোলা মাঠে শূন্য নদীর ঘাটে
নির্জন নিরালায় শঙ্কার গান গাই
খোলা জানালায় তীর্থের মাঠে
শহরের ল্যাম্পপোস্টের ধারে পড়ে
শীতে কাঁপা সেই সন্তান আমি তোমার
আমি অনাহারী অর্ধহারী রাস্তার ধারে
শুইয়ে থাকা সেই অবুঝ শিশুটি তোমার
আমি সেই বয়স্ক মায়ের মুখ লুকিয়ে হাত পাতা
শীতে কাতর পেটে ক্ষুধা মুখে নেই কথা
আমি ওদের ভালোবেসে বেসে
কবিতায় দু কথা লিখে রেখে যাই
হে দেশ আমার হৃদয়ের দ্বার সদা রাখি খোলা
যখন দেখি গরীবের ঘরে শান্ত হাওয়া কভু দেয় দোলা
দুখী মানুষের মুখের হাসি আমি পড়েছি গলায় ফাঁসি
পথ চলতে যেয়ে সেই ছোট্ট কুকুর ছানা
কি মায়াবীনি চোখের চাহনি কোলে তুলে নেই
বৃদ্ধ বাবার ক্ষীণ দৃষ্টি দিয়ে বিশ্ব দেখি আমি
সেই কুকুর ছানা আর বৃদ্ধ বয়সী বাবার মাঝে
নিজেকে খুঁজে বেড়াই
বয়সী মায়ের ঠকঠক কাঁপা নিথর শরীরে
হায় তার ছেলে যদি থাকত এখানে
না জানি তার কি হাল কোন পথে বেড়ায়
আমি তার ছেলে হয়ে যেন জীবন কাটাই
আমি ভ্রমরের মত গুনগুন করি না
ফুল আমায় নিরাশার গান শুনায়
জানি না ফুলেরা কেন ঝরে যায়
তবু নিশ্চুপ তবু নিরূপায়
হে দেশ আমার চরনে তোমার
তবু দিও গো মোরে ঠাঁই