মাগো লক্ষী মা কেঁদো না-
তোমার খোকা তোমার বড় আদরের খোকা
কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে পারেনা
দেশটা যখন স্বৈরাচারীদের কবলে
যখন পদে পদে মেধাবীদের অধিকার লঙ্ঘন হয়
তখন কি করে তোমার ছেলে তোমার আঁচলে
মুখ লুকিয়ে পড়ে থাকে বল মা
যখন মিছিলে ছাত্র জনতা
গলা ফাটিয়ে আর্তনাদ করে
ওদের এই ব্যাথা আমার বুকে এসে লাগে
আমি সইতে পারি না মা
ওদের তৃষিত বুক এক ফোঁটা জলের জন্য
কেমন হাহাকার করে কেমনে সই মা
রাজপথে টিয়ারশেলের বিষাক্ত ধূয়ায় ছেয়ে যায়
আমার চোখের কোষ মনিবন্ধ স্নায়ু শিরা
সব যেন পুড়িয়ে দিচ্ছিল প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছিল মা
চোখ মুছতে মুছতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম
তবু দাগ লাগেনি তোমার আদর্শ তোমার দেয়া শিক্ষায়
ন্যায়ের লড়াইয়ে কি করে হার মেনে নিব মা
ঘাতকের বুলেটের বিভৎসতা
ঘাতকের যন্ত্রণাদায়ক নিদারুণ প্রহার ডিঙিয়ে
হাঁপাতে হাঁপাতে
পানি নিয়ে এগিয়ে গেলাম "পানি লাগবে পানি"
সেদিনের (১৮ জুলাই) সন্ধ্যাটা
অন্য দিনের চেয়ে যেন
একটু ঘোর অন্ধকারই ছিল
তোমার প্রতিবাদী ছেলেটা
তোমার বুকে ফিরে আসতেই চলেছিল
পাষণ্ডদের একটা বুলেট
ঠিক কপালটা ছিদ্র করে চলে গেল
যেখানে তুমি রোজ একবার আমাকে চুমু খেতে
কেমন যেন যন্ত্রণা পৃথিবীর কিছুর তুল্য নয় মা
তোমার ছেলের মায়াবী চেহারাটা রক্তে লাল হয়ে গেল
পুরো পৃথিবীতে যেন ঘনঘোর অন্ধকার ঘনিয়ে এল
ওরা সবার অধিকার কেড়ে নিতে চায়
সবার মুক্তিই যে আমার মুক্তি মা