স্বাধীনতা হচ্ছে যৌবনের মতো -পরাধীনতার বার্ধক্যকে
কখনো স্পর্শ করতে যেও না
বার্ধক্যে মেতে ওঠে মানুষের মিত্যুর উৎসব
তখন পত্রিকার পাতাগুলো নিছক প্রতিবেদনের পাতায়
ভরে উঠবে
আমরা ২০ কোটি বাংলাদেশী একেক জন সৈনিক
আমাদের ২০ কোটি বাংলাদেশীর ঘরে হয়ত ঢুকবে
১০ লক্ষ শত্রু সেনা যাদের জীবিত ফেরা অসম্ভব
ক্রোধ ঘৃনা যন্ত্রণার ইন্দ্রিয় গুলি জাগিয়ে তোলে
আমাদের প্রতিটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ চুরমার করে দিবে
শত্রুর সব দূরভিসন্ধি
শূন্যগর্ভ থেকেও আমরা উঠে দাঁড়াতে জানি আমাকে শুধু রক্ত দাও
আমাদের পদ্মা মেঘনা যমুনা কুশিয়ারায় বয়ে চলবে সে রক্তের ছাপ
আমাদের রক্তে যেন আমাদের শার্সিত মুক্তির পথ
আমাকে শুধু রক্ত দাও
আমার আকাশ আমি সাজাবো পাখিদের চলাচল
কিংবা মেঘের গর্জনে
তখন রাত্রির বুকে আবির্ভাব হবে অসংখ্য নক্ষত্রের
শকুনের শ্যেনদৃষ্টি তীক্ষ্ণ নখরে উদ্বিগ্ন আর নয় বাংলাদেশ
আমাদের মাথার খুপরি উড়ে যাবে তবু ক্ষুধা তৃষ্ণা ভয়
আমাদের স্পর্শ করবে না
হয়ত আলোর ঘূর্ণায়মান জ্যোতি আমাদের ঘিরে ধরবে
আর আমরা হারিয়ে যাব সমহিমায় আমাদের আপন জগতে
তবু দীপ্যমান পুষ্পিত বসন্তের রঙে প্রানবন্ত হয়ে উঠবে আমার দেশ
আমাদের ক্ষত হৃদয় থেকে জন্ম নিবে কোটি মিত্যুজয়ী বিপ্লবী বীরের
মিত্যু একটি দোদুল্যমান সত্য আজ অথবা কাল মরতেই হবে
আজকেই হউক না সে মিত্যু দেশের জন্যে যন্ত্রণাহীন মর্যাদাপূর্ণ শহীদি যে মিত্যু
মিত্যুর স্বাদ পরোয়ানা করি না শত্রুর মিত্যুর থাবা যত ভয়ংকর হউক
পরাধীনতার যে দুঃখের ডালি কোন জাতি সহ্য করতে পারে না
আমাদের ছোট মানচিত্রের চাইতে দেশপ্রেমের গভীরতা
অনেক বিশাল গহীন রাত্রির থেকেও গভীরতম
নৈঃশব্দ্যের যাতনা অফুরান দেশপ্রেমে লক্ষ্য খুঁজে নেয়
আমরা পাগলাটে মেজাজী পৃথিবী শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমীর দল
ম্লান রাত্রিগুলো কোন বিভীষিকার আগমনের অপেক্ষায়