পাকা ধানের রং মেখেছে অবারিত মাঠ দিগন্ত
ধানের গন্ধে মন ভরে না বাংলায় এল হেমন্ত
ঘাসের পথে চলতে দেখি শিশিরে ফুল ফুটন্ত
রোদ্দুরে তার রূপের নাওয়ায় বাংলায় এল হেমন্ত
সবুজ পাতায় শিশির খেলে কোন সে ঋতু হেমন্ত
সোনা রোদ কুড়িয়ে ধানে অঘ্রানে ধান ফুটন্ত
শস্যে খাঁ খাঁ মাঠ পুড়ে তাই আজ পরে যায় সারা
আজ কৃষানের ব্যস্ত মাঠে কাজের বড় তাড়া
মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে শীতের ফসল বুনে
হেমন্তটা তাই কৃষানেরই শান্তি চিকুর মনে
নতুন ধানের গন্ধে মাতে মন হয় তার উৎপল
নায়র নিয়ে জামাই ছুটে বাংলা তাই আজ চঞ্চল
ধান কাটা আর ধান মাড়াইয়ে আজ পরে যায় সারা
আজ গম্বুজে মাথা উঁচায় খড়কুটরের ঐ নাড়া
খই ফুটে আজ উৎসবের সবার মুখে হাসি
হেমন্ত তাই এত প্রিয় সবাই ভালোবাসি
চিড়ের মোয়া খইয়ে ফুটে গ্ৰাম বাংলায় মেলা
হেমন্ত আজ নবান্ন সেজে করছে যেন খেলা
আজ প্রকৃতির শস্য দানে আজ পুরে যায় তেপান্তর
উত্তরী বাতাসে দুল খেয়ে যায় ধানের শীষে হেমন্তর
উত্তরী বাতাসে প্রান চঞ্চল শীতল মৃদু হাওয়া
হেমন্ত আজ রং মেখেছে তাই বেড়াতে যাওয়া
শিমের মাচান হেমন্তে যায় ফুলে ফুলে ছেয়ে
ছাতিম বনে শুকনো ফুল যায় হেমন্তের গান গেয়ে
শিশির ভেজা ঠান্ডা বাতাস রূপ রস প্রান প্রানন্ত
ধানের গন্ধে মন ভরে না বাংলায় এল হেমন্ত
ঠান্ডা বাতাস নাওয়ায় চলে ঘাস ফুলেদের স্বর্গ রাজ্য
হেমন্তটা উতলা যার বাংলার সাথে মিতালী আজো
হেমন্তের ঐ দিন দুপুরে সুখের ছলে সোনালিকা
রোদ ছায়ায় লুকোচুরি খেলে হিম রোদের হেমন্তিকা
আজ প্রকৃতি বিবর্ন সাজে কেমন যেন পড়ন্ত
প্রকৃতির ঐ রূপ রস প্রান কেমন যেন প্রকান্ত
হিমাদ্রি ঐ ডাকছে দূরে বাংলায় এল হেমন্ত