বঙ্গ-সাগরের বালুকাময় সৈকতে পদধূলি এঁকে
নির্বাসিল মোর বাসনা শ্রেফ
সমুদ্রের ভাষা কে জীনিবে উত্তাল সমুধিবে
নদীকে পাওয়ার কী আক্ষেপ
কে জীনিবে সংগ্রামের ভাষা
দেশপ্রেমির বজ্র কণ্ঠ কাঁপা
কে জীনিবে অতল সমুদ্রের গভীরতা
জেগে উঠা দেশপ্রেমীর স্রোত যায় কী মাপা
জীনিবার নয় সে জীনিবার নয়
কে জীনিবে তার রত্ন আকর
কত দস্যু কত বীর জীনিল
বেদীমূলে সমাধি তাদের সুদূর বহুদূর
জীনিল অতলের স্বাক্ষর
জীনিতে জীনিতে চিনিতে চিনিতে
কেটে গেল শত সহস্র বছর
জীনিল না কেহ তবু চিনিল না কেহ
কেন বিক্ষুব্ধ এ উত্তাল সাগর
যে জীনিবে সেই বুঝিবে
কী পাষাণ নোঙর গাড়িয়াছে সংসার
তরাঙ্গির লোনা জল তার অশ্রু সজল
বিশাল বুকে কার পাপের পাহাড়
কতবার কতবার গরজে উঠবে এ সিন্ধু
আর আসীম এসে শাঁশাবে অসম সমর
কত দিন কত রাত কেটে প্রসারিত হবে
তার অদম্য লহর
শুনরে মানব বিবেক বিবেকের সমুধিবে ডুবে
কাঁদিতে কেন যে তুর এত ভয়
শীতল কণ্ঠে শুনবি তার অনুনয়
অনাদি অনন্ত মহাময়    
সাক্ষ্য এ ভগ্ন শুষ্ক নিঃস্ব বালির বুকে আছরে পড়া এ জলরাশির করুণ ইতিহাস গাঁথা
সাক্ষ্য এ আদি সিন্ধু তার প্রতিটিজল বিন্দু
কী ছিল তার আসন পাতা