এই সরোজিনী বাংলার মখমল
হাজার বছরের পৌরনিক পথে
চলেছিলাম ধ্যান চক্ষু অন্তরাল
ব্রমবর্ত থেকে চর্যাপদ পদাবলী রথে
গাঁথা সে বিনি সুতোর মালায়
আঁচলের সূয়োয় রাখালের বেনু
শিউলি মালার বরন ডালায়
চুম্বিছে নায়র মারিয়ে ধেনু
সে চিত্তময়ী ধন্যি ধারাময়ী শ্যামলী
সাদা মেথির ফুলকো বনে
খোঁপা বাঁধানো ফুলে মালী
দিগম্বরে রূপ পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে
কাজল কালো সন্ধ্যায় আর
মেঘের আড়ের তন্দ্রায় দেখি
মুক্তো বধন মুখখানি তার
রূপোলী চন্দ্রমের কিরনের মাখি
নদীর ঘোলা জলে খেলাপ তরী
ঢেউয়ের তালে গহনে চলে
কাজল দীঘির পাড়ে আবার
ফুল নকশাল ঝোনাক জলে
চরনখানি তার ধূসর সায়ার
অর্ঘ্য বিছায়ে পুঁজি আমি
পুন্যে মাখি দুলঙ্ঘ্য ডায়র
বাংলায় পাই আমার আমি
কলঙ্ক দাগ লাগেনি কভু
বৈরাগী ঢুলিতে পতঙ্গীয়া বিলাই চুমে
হোগল পাতায় নাহিয়া তবু
জন্মিলাম বাংলায় এ পুন্য ভুমে
পরতে পরতে তার ত্রিপদী বলয়
অবিরাম ধারাবাহীর নির্ঝরি
মাতিয়া মাতিয়া সপন বুনিছে
অভাগীর ঐ অশ্রু প্রলয়