শরতের শিশিরে পদ্মবনে যেন
নিতুই ধরেছে হাওয়া
জলছাপটার ধারে ধারে
পাতার ডাঙায় নাওয়া
সবুজের অবারিত মাঠ ছুঁয়ে
পত্ররা ঝরে যায় নিমেষ
অবোধ সময়গুলো মাদকতার ভরা
আকাশ নীলিমায় মেঘেরা বেশ
হে বাতাস দক্ষিণা বাতাস
উড়িয়ে নিয়ে যাও আমায়
যেখানে স্নিগ্ধ রোদেলা আকাশ
যেখানে নদীর শান্ত তীরে
ফুটেছে শরতের শুভ্র কাশ
আকাশের মেঘের থেকে কুড়িয়েছে
যেন এত এত সাদা শুভ্রতা
কাশ ফুলে ফুলে বনে বনে
যেন লেগে যায় মাদকতা
পৃথিবীর সব কিছু ভুলে স্নিগ্ধ চাঁদের হাসিতে
ক্লান্তি নাশিতে যায় জীবন বপনে
ছাতিমের বনে বনে পুষ্পিত তারা
পাখিদের মধু গান প্রান ভরা
ফুটেছে শিউলি বকুল
ভেসে যায় সুরেলা সুবাতাস
ঝড়ে পড়ে জগডুমুর চালতা ফুল
নবান্ন উৎসবে ভাদ্র আশ্বিন মাস
হালকা রোদ্দুরে হেমন্তের আভাস
শিশির ভেজা নরম সবুজ ঘাস
রোদ্দুরে করে জল জল
শেফালী বকুল শিউলি তল
হে আকাশ শরতের আকাশ
মনের গহীনে জমে আছে তুমি
তোমাকে ছূতে চায় শরতের শুভ্র কাশ
শরত এসেছে হৃদয় ভেসেছে
হৃদয়ে জমেছে কোলাহল
কাশ বনে বনে পড়ে গেছে সারা
কাশফুল করেছে জলমল
শরতের নিশিতে পূর্ণ চাঁদ
জোৎস্না অবারিত
চাঁদের জোছনায় কাশফুল যেন
পূর্ণেন্দু অমৃত
শরতের ভোরে শূন্য আকাশে
পাখিদের উড়ুউড়ি কোলাহল
মেঘেরা যেন তন্দ্রা মেখে
শূন্যে করেছে চলাচল
শরতের কোলে শুভ্রতা দুলে
স্বচ্ছ পৃথিবীর মাঠ ঘাট
শরত এসেছে গোপনে চলে
আকাশ ছুঁয়ে পৃথিবী ললাট