আমি লিখতে বসলেই
অন্ধকার ধরনী কাঁপিয়ে নতুন ভঙ্গিমায় সূর্য ওঠে
গোটা একটা দেশ জেগে ওঠে
বিবর্তনের সুকুমার অভ্যুদয়ের মত দিগন্ত উপত্যকা
মজলুমেরা বিদ্রোহ করা শুরু করে দেয় ইতিহাস সাক্ষী
কবর ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে সে জুলুমের সত্যাসত্য অনুসন্ধান
অনাহারীরা এসে দাঁড়ায় দীর্ঘ পথে পথিকের খোলা জানালায়
এক যুবতী মেয়ে অঙ্গভঙ্গি করে যেদিকে ভ্রুক্ষেপ আনত অনুশোচনায় দগ্ধ
জীবন থমকে দাঁড়ায় রচনার শিল্প শৈলির করুন রসে
মুকলিত ফুলেরা গন্ধ ছড়ায় বীর্যব্রত যার স্নান সৌরভ
বাতাস আদর করে দিয়ে যায় যার সুমধুর সুঘ্রাণ
পাখিরা গান গেয়ে প্রজাপতির রঙে উড়ে বেড়ায়
নদীতে যৌবন বেগে জোয়ার প্রবাহিত হয় দ্রাঘিমার অনুকূল
বৃদ্ধ মনে যৌবন জাগে সোর্যে সমাহিত পরম্পরা
সমুদ্র গর্জে উঠে মন্থিত ঢেউয়ের উদ্যানে
আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় অন্বেষ সত্যের উত্থানে
মাটিতে ভুমি কম্প হয় উঠে আসে সে সত্য
ঘাসের শিশিরের সখ্যতা -ঈস্পিত অদৃশ্য যার
শিশুদের আধো বুলে-যেন কবিতার রং লাগে
প্রেমিকার মনেও রং লাগে -অদৃশ্য সে বেদনা
কুয়াশা চাদরে ঢেকে যায় -অদৃশ্য হাতের পৃথিবী
চাঁদের আলো চূইয়ে পড়ে-পলকে সুকুমার সম্মোহন
আমি লিখতে বসলেই ঝর্না গান শুনায় শাব্দিক নিবেদন
ঝিলের পানিতে আগুন লাগে পাহাড়ে মেঘেরা দেয় উকি
আমি লিখতে বসলেই নারী জাগরণ হয় মুনজারীনে
ছাত্রদের পদধ্বনি শোনা যায়-কালো মুখে পূর্ণিমা ছড়ায়
আমি লিখতে বসলেই বসন্ত চলে আসে ধ্রুপদী কিশলয়ে যার সম্ভার
আমি লিখতে বসি ঠিক আমার অগোচরেই