পরাধীনতার অন্ধকার ছিল দগ্ধ হৃদয়ে
দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ জনতার অন্ধ চোখে
পায়ে পড়ানো ছিল অদৃশ্য স্কন্ধের ভেরী
ক্ষমতার ছত্রছায় চলত অরাজক রাজনীতি
স্বাধীনতা তখনো আতুর ঘরেই ছিল
শুধু আমাদের দেখার চোখটা ভুল ছিল
যখন অন্ধ গলিতে আমাদের মা বোনদের
শরীরের গন্ধ শুঁকত কুকুরেরা
যখন বিরোধীদের সূর্য উঠা ভোরের দেখা হত না
গহীন অন্ধকারে ডুবে যেত দিনগুলি
চোখের অশ্রু শুকিয়ে রক্ত ঝরছিল
কথা বলার অধিকার ছিল না
কলমের মুখে কালি খসত না সাংবাদিকের
সুশীলদের মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকতে হত
কথা হত অস্ত্রের ভাষায়
অন্ধকার কারাগারে বা আয়না ঘরের ভেতরে
যখন শ্রমিক মজুর যুবা দোকানির
বিলের খাতায় লেখা হত অকথ্য ভাষা
যখন সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করে হামলা ভাংচুর করা হত
যখন ধর্মীয় নেতৃত্বের পবিত্র রক্তে ভিজে অপবিত্র হত
রাজপথ
ঐ অভিশাপ আজ লেগে রয়েছে ওদের ললাটে
ঐ রক্ত অশ্রু বাষ্পের মত বিচ্ছুরিত হচ্ছে
ঐ মাতাল কথাগুলো আজ জনরোষে পরিনত হয়েছে
ঐ আমিত্ব আজ স্বাধীনতায় রূপ নিয়েছে
দিন বদলের পালা বদলে
মনে রেখো বাংলাদেশ এখন ছাত্রজনতার হাতে
কোনো দোসরদের পরাধীন পতাকা তলে নয়
ছাত্র জনতার রক্ত গঙ্গায় স্নান করে বিশুদ্ধ হওয়া
এক উজ্জীবিত বাংলাদেশ
নতুন স্বপ্নে বিভোর সম্ভাবনাময় নিখাদ
হয়ত কখনো বা রাজপথে নির্যাতিত লাঞ্ছিত
মুখের বিলাপ আর দেখতে হবে না
আর দেখতে হবে না রক্তের আস্বাদন
স্বাধীনতা শব্দটি অতি মধুর
স্বাধীনতা শব্দটি অতি শক্তিশালী
যাতে নিহীত রয়েছে
প্রত্যেক নাগরিকের জেগে ওঠার শক্তি
সর্বস্তরের মানুষের অধিকার স্বাধীনতা
নিরাপত্তার দায়বদ্ধতা স্বাধীনতা
মুক্তবাকে গেয়ে উঠা জীবনের গান স্বাধীনতা
পতাকা হাতে গগন বিদারী আর্তনাদ স্বাধীনতা
মেধাবীদের টকশোতে মুক্ত আলাপ স্বাধীনতা
বোনের মুখে হাসি ভাইদের বিরত্ব-গাথা স্বাধীনতা
কবির মুক্ত খাতায় লেখা কথামালা স্বাধীনতা
শুধু বিদেশীদের দাসত্ব শৃঙ্খল থেকে মুক্তি স্বাধীনতা নয়