কোথায় পাবো সেই গ্রাম
যেথায় কাদা মাটির প্রলয় ঘেরা সরু পথ।
যেথায় দু পাশে সবুজ ঘাসের পরত।
মিলবে সেথায় গাছের ছায়া, মেঘ রোদের খেলা।
কোথায় পাব সে গ্রাম
ভোরের আলোয় পাখিদের কোলাহল,
দেখব সেথায় শিশির ভেজা গাছের পাতা।
সবুজ চাদরে মোড়ানো প্রকৃতির আভায়।
নয়ন জুড়ে দেখবো তারে, তার তরে যেতে চাই।
কোথায় পাব সে গ্রাম
যেথায় সোনা রোদে মেঘেদের দল ফসলে ছায়া পেলে।
রাখাল গরুর পাল নিয়ে যায় মাঠে হুর হুর গলা বাজিয়ে।
ক্লান্ত চোখে দৃষ্টি ছড়া দূরে দূরে।
কৃষক মাথায় মাথাল দিয়ে জমি নিড়ান।
তপ্ত রোদে তার ভেজা শরীরে সূর্যের আলোর তড়িৎ খেলা।
যাব সেথায় দেখব আমি প্রকৃত জীবন।
কোথায় পাব সে গ্রাম,
জোছনা রাতে চাঁদের আলো, খিড়কি দিয়ে উঁকি দিবে।
উঠান জুড়ে শোলক, পুঁথি গাইবে ঢাক বাঁশির সুরে।
আড্ডা হবে চাঁদের আলোয় দাঁত কেলিয়ে হাসি।
কোথায় পাব সে গ্রাম
যেথায় খেজুর গাছের সারি
শীত সকালে খেজুর রসের মাটির চুলার ফিরনি, পায়েস।
চাদর গায়ে লাঠি ভর দিয়ে বৃদ্ধ হাটে মেট পথে।
হাসনাহেনারা শক্তিশালী সুগন্ধ ছড়াবে সন্ধ্যা সুরু থেকে গভীর রাত অব্ধি।
কোথায় পাব সে গ্রাম
যেথায় ফাগুনের মাতাল হাওয়া, কোকিলের কুহু কুহু সুর।
জরাজীর্ণ গাছের পাতা, পায়ের তলায় শুকনো পাতার
কড় কড়া শব্দ।
গাছে গাছে নতুন পাতা, নতুন দিনের আশা।
আলতা রাঙা তুলা ফুলের লাল বিছানা।
কোথায় পাব সে গ্রাম
যেথায় বর্ষা দিনে কাদা মাটিতে পা লাফিয়ে চলা।
বৃষ্টি শেষে খালে বিলে জল তরঙ্গে খেলা-
ডোবা জলে ব্যাঙ ডাকে, হাঁটু জলে মাছ ধরে।
হিমেল বাতাসে গগন জুড়ে রংধনু র ধারা।
নয়ন ভরে দেখব তারে।
বলো কোথায় গেলে পাব তারে সবুজে ঘেরা গ্রাম।