গদ্য ছন্দ
তোমার আবেদনময়ীতা
শিহরণ জাগায় মনে
যখন বর্ষণ শেষে ঝিরিঝিরি পবন
আমায় ছুঁয়ে যায়,
বৃষ্টি স্নাত রূপসীর ভেজা কেশ
আর সিক্ত ঠোট নয়।
ধূলো মাখা ধূসরতায় ডুবে থাকা শহর
সে যে পল্লীর শীর্ণকায়
ঘোমটায় ঢাকা লজ্জাবতী।
তোমারই পরশে সে যেন
নির্লজ্জ হয়ে যায়
যে নির্লজ্জতা ফিরিয়ে দেয়
সৌন্দর্য প্রতিটি দেয়ালের।
তোমার পদার্পণের পূর্বক্ষণে
কালো মেঘের বুকে
ছুটে বেড়ানো সেই সাদা বক,
যে দমকা বেগে দলচ্যূত হয়ে
একা একা নীড়ে ফিরে যায়।
নিঃসঙ্গতারও এক দারুণ রূপ রয়েছে
সামাম্য অবলোকন করা হল তার চলায়।
এই রূপ জয়নুলের সাদাকালো শিল্প নয়,
এযে ডুব দেয় রঙিন আভায় যখনই-
হঠাৎ বিজলী চমকায়।
তব আগমনে কিঞ্চিত কার্পণ্য না করে
প্রকৃতি নিজ নিজ রঙে নিজেকে সাজায়।
এতোটা সাজে না
কাঁচা বয়সের সে নারীও
যে রয়েছে বিলেত হতে
অর্ধাঙ্গ ফেরার অপেক্ষায়।
নীল শাড়ি জড়ায়ে,
খোপায় দিয়ে কদম
আর নাম না জানা রঙের
'একটি ফোটা' কপালে দিয়ে
চির যৌবনা নদীর বাঁকে
হাঁটতে থাকা রমনীর
নূপুরের নিক্কণ অতি তুচ্ছ লাগে,
মুষলধারে টিনের চালে
রিমঝিম ঐ শব্দের কাছে।
তুমি সুন্দর নয় তবে সুন্দরী
তুমি হয়তো জানো না যে,
তোমায় হিংসা করে প্রতিটি রূপবতী নারী।
এখন বল তব প্রেমে
না পরে কি আমি পারি?