গদ্য কবিতা

তোমার যৌবন আমি দেখতে পাই প্রতি দর্শনে
গ্রীষ্মের শেষে আষাঢ় আর শ্রাবণের বারিবর্ষণে।
বর্ষা ভেজা কদমের চওড়া পাতার প্রতি ফোঁটা যেন,
কপোল বেয়ে গড়িয়ে পরা টিনএজের আবেগ।
ফুলগুলো এতোটাই মায়াবী, মনে হয় পুরানো প্রেম,
যা দূর থেকে দেখতেই ভালো
লাগে যার কাছে যাওয়া নিষেধ।
কাদাজলে সাঁতার কাটা হাঁসের দল যবে ফিরে নীড়ে,
লাগে যেন অভিমান করে প্রেমিক ফিরে যাচ্ছে ধীরে।
কালো মেঘের গর্জন, না তাও ভালোলাগে
মনে হয় তা প্রেম বৈরী বাবার শাসন।
ঝুম বর্ষণে কৃষকের জোংরায় পিছলে পরা বারি,
যার প্রতি ফোটা যেন, আনমনে প্রণয়ীর কথা ভেবে শ্যাওলা যুক্ত রাস্তায় হাটতে থাকা যুবতী।
আকাশের কান্না মাঝে মাঝে থামলেও
বিটপী যে কাদঁতে থাকে সে যেন ব্যাথাতুর
তার আঁখি জল টিনের চালে শব্দ করে টাপুরটুপুর,
এ যেন টাইটানিকে অনবরত বাজাতে থাকা
বেহালার বেদনা বিদুর সেই সুর।
যে সুরে সূর্যও তিন চারদিন টানা ঘুমায় নিগুঢ়
পূর্ণিমা কি অমাবশ্যা, মিলেনা দেখা বিধুর।