যখন দ্বাদশীর চাঁদ মাঝ আকাশে নোঙর ফেলে;
ব্যালকনির টবে ফুটে থাকা ছোট্ট কামিনীর সৌরভ,
মাতোয়ারা করে চারদিক।
জোসনা রাতের নিশঙ্গতায় যেনে রাখো চিত্রা,-,
তুমি শুধুই আমার!
এ নগরের হৃদয়হীন নাগরিকের ভীড়ে
রুপসার তীরে ভাঙাচোরা কোন এক ডিঙি নৌকোয়;
সারাদিন ভেসে থাকি যখন তোমার বুকের পরে মাথা রেখে ,-!
গাঙচিল মাছরাঙা আর বাটাং এর মত!
তারপর সন্ধ্যা নামে, গাঢ় লাল সিদুরে আকাশ;-
উঁকি মারে কালো কালো মেঘেদের পিছে,
সময় থমকে গিয়ে, থাকি শুধু দুজন দুজনার-
যেনো প্রিয়ে, তখন তুমি শুধুই আমার!
ক্লান্ত দিনের শেষে জমে থাকা কথার পাহাড়,
ভারি হয় পরানের ভেতর পাষাণ প্রমান;
অবসর হয়না তবু এ ব্যাথা জানাবার-
তবু কোন একদিন বসন্তের বিকেলে শিমুলের ফুলে;-
রাঙানো পথ ধরে হাটি যদি দুজনে আবার;
যেন প্রিয়ে সেই ক্ষনে তুমি শুধুই আমার!
কত দিন মেঘলা আকাশ চারদিক বাদলের ধারা,
স্যাতসেতে কাদা, একঘেয়ে গিয়েছে কেটে সারাদিন,-
শুধু তোমার অপেক্ষায়, রঙহীন বৃষ্টির ফোটা,
শীতল পরশ দিয়ে গিয়েছে ভিজায় বারবার।
মদিরা মত্ত সে উষ্ণ প্রস্রবন ধারায়,
যখন পেয়েছি তোমারে আবার,-
চিত্রা যেনে রেখো সর্বদা , তুমি শুধুই আমার!
নরম বিছানা ফেলে -
তোমার উষ্ণ বুকের পরে শুয়ে দেখিবো অজস্র তারা,
ঝরে পড়ে পৃথিবীর গায়ে।
আরো আমি দেখেছি চেয়ে,
কখন যে লুটায়েছি তোমার পায়, অজ্ঞাতে;-
ভোরের শিশির ঝরা পথ ধরে অনাগত শীতের প্রভাতে,
তোমারে পেয়েছি আমি;-
জন্ম জন্মান্তরে হয়ত কোন তপস্যার পর,
তাই পৃথিবীর প্রতি পলে পলে তুমি শুধুই আমার!