আচ্ছা কেমন হবে যদি অনেক দিন পরে;
এই ধরো হাজার কিংবা লক্ষ কোটি বছর বাদে-
ফিরে আসি দুজন? পৃথিবী কিংবা অন্য কোন গ্রহে,
অন্য কোন লোকে! চিনতে পারবে আমায়?
এত প্রেম, এত আকাঙ্খা, এত যে পাওয়ার তৃষা;
এক দেহান্তের পরে মনে থাকে পূর্বের যত কথা?
নাকি, নশ্বর দেহের মতো প্রেম সেও ফুরায়?
শরীর মরে গেলে গায়ের সে গন্ধ তাও বুঝি হারায়?
তোমার সমস্ত স্মৃতি জমা হবে শ্বাশত এ হৃদ মন্দিরে,
অনন্ত অক্ষয় অবিনশ্বর হয়ে রয়ে যাবে চরাচরে!
নশ্বর এ রূপ ফেলে সমস্ত বিস্মৃত স্মৃতি রোজ করি জড়;
খুজে নিই, পুর্বজন্মের ঘ্রাণ যা তোমার বাহুতে পাই আমি!
তোমারে খুজে পাবো আমি দেহের এই ঘ্রাণে;
লক্ষ জনের ভেতর উষ্ণ কামনায় রাঙা সে ঠোঁট-
চিনাবে আমারে! তোমার বাহুর নিবিড় আলিঙ্গনে;
বাধা পড়ে খুজে নেবো শীতল ছায়া প্রতি ক্ষনে ক্ষনে।
তোমাকে নিয়ে আমি আবার আসবো আরেক গ্রহে;
যেখানে নদী ও পাহাড়, সবুজ তৃণের মাঠ ছুয়ে-
প্রত্যহ প্রতীক্ষায় রবে আমাদের অনন্ত প্রণয়ের।
তুমি ভিজে যাবে ভেতরে কিংবা বাহিরে; তারপরে;-
একসাথে ডুবে যাবো তৃষিত নদীর অতল গভীরে!
রোজ কী যে তৃষ্ণা নিয়ে দাহ হই আমরা দুজন!
এ জন্মের প্রেম নিয়ে অধীর আকাঙখায় ফিরে যাবো;
তারপর আর এক জন্মে এসে আমি শুধু তোমার হবো!