আচ্ছা পরের জন্মে যদি আমি নদী হই?
তুমি নাইতে নামবে আমার গভীরে?
যদি হই ভাটার চর?  পড়বে তোমার চরণ দুখান?
যদি আলতা ফল হই? আমায় রাঙাতে দেবে তোমার পাখানি?
কেওড়ার ফল হবো সুন্দরবনের ধার ঘেসে ;
ঝুলে রবো থরে থরে।
তোমার অপেক্ষায় রয়ে যাবো;
যদি তুমি আবার আসো কোন একদিন!
পৃথিবীর এই লাল ধুলা ধুসরিত কত পথ বাকি আছে আরো,-
হেটে যাবো যাযাবর পথিক হয়ে;      একসাথে।
পথের পাশে ফুটে থাকা অচেনা ফুল হবো!
তোমার কানে গুজে নেবে আমায়?
পরজন্মে আমি কবি নই, হবো কবিতা;-
পাতায় পাতায় পরতে পরতে সহস্রাব্দের দুখ-ব্যাথা বয়ে,
পুরাতন পান্ডুলিপির মত,    রয়ে যাবো অন্তরালে।
বাবলার সার বাধা গেয়ো মাটির রাস্তা হয়ে;
প্রতীক্ষা করে যাবো,   তোমার আসার।

ভেটকির চোখ হয়ে সাগরের নিচে,-
গভীর জলের তলে খুজিবো তোমারে!
আরো কিছু বিলিয়ন বছর পরে ফিরে এসে যদি,-
না পাই তোমারে!
চাঁদের আলো হয়ে আবার এসে খুজিবো পৃথিবীর পারে!

মানুষ মরে যায় জানো? সত্যি সে মরে; আমিও তেমন হায়!
অমন নদীর গভীরে! গাঢ় অতলে,  নিশব্দে তোমার মায়ায়।
এমন মায়াবী পূর্ণিমার চাঁদ;   নেশার মতো নদী,-
হাজার বছর পড়ে রবো,   তোমার আলিঙ্গনে বাধা পড়ি যদি।