এখন সন্ধ্যা হয় ধানের খেতের পরে চুপিসারে,
ক্লান্ত শরীর খুজে ফেরে সেই তারে-
নতুন বছর আসে আর যায় তবু জানি সে আমায়;
গাছের পাতার মতো শিশিরের মতো,
সযতনে ধরে রাখে তার বাহুর ভেতর।
বিষন্ন হৃদয় শরীরের ছায়া খোজে অন্ধকারে;
ভয় পায় জোনাকির মৃদু আলোয়।
কি হয়? মনের ভেতর দেহের ভেতর?
কালো কাক পুর্ণিমায়?
শিমুলের শাখায় দোল খায়?
সময় নিজের মতো চলে যায়-
নিয়ে যায় আমাদের সমস্ত যৌবন ;
চোরের মতন!
কোন অধিকারে সে ভেঙে ফেলে হৃদয়ের বাধ?
চারদিক এখন অনেক নক্ষত্রের ভীড়!
মৃত মানুষেরা ফিরে আসে ওপারের দেয়াল ভেঙে;-
আধোলোকে বিবশ আমি তোমার গায়ের ঘ্রাণে,-
কেন যেন মৃতের ভেতর জাগায় হটাৎ প্রণয়!
ভীরু যারা তারা প্রেমিক কোনদিন নয়?
উষ্ণ ঠোঁট ছুয়ে যেতে কে করে অনুমতির প্রত্যাশা?
কী যেন দারুণ নেশা জাগে পুর্ণিমায়!
তোমার নদীর পরে আজো সে মাতাল ঘোড়া
প্রত্যাশা করে বেলাগাম ছোটার!
হটাৎ করে ভেঙে যায় বাধ, বালির মতন-
ধরে আর রাখি কতক্ষণ?
যখন জোয়ার আসে উন্মত্ত অধীর!
নিশ্বাস ভারি হয়ে আসে, শরীর দ্রোহ করে ;
সময় থমকে যায় শুধুই ক্ষণিক স্পর্শে!
তবে আমি ধরে থাকি! অপেক্ষায়;-
প্রাচীন সেই সভ্যতার গভীর নিচে হয়ত খুজে পাবো,
আরো একদিক!
আরো একবার নদীর ভেতর চলে যাবো?
নদীর প্লাবন ধারা ভাঙবে কি দুকুল আবার?
কোন একদিন? সেদিন আবার?