যেথা জন্ম সেথা মৃত্যু, তবু্ও বিদায় কঠিন;
অনন্তে অসীমে বিলীন যেনো শোক তাপ হীন।
হে মিত্র, পরম সখা আমার, তোমার যত ঋণ;
রহিল অদেয়।
সমুখে উঠেছে ভাসি, অজস্র স্মৃতি রাশি-
অবেলায় হটাৎ তোমার বিষন্ন প্রস্থানে;
জগতের সৃষ্টি হতে একটি কুসুমের বিদায়ের গানে,
ভরেছে বসন্ত কানন! শিশিরের অশ্রুনীরে ভাসি
যাও কোন দূর লোকে? কোন সুখে?
নাকি এই মর্তের ধুলার তরে তৃষা, হয়েছে সমাপন?
বিষন্ন হয়েছে মন?
তবে যাও কেনো? ওই দূর কুহক মরিচিকায়?
যেখানে তোমার আমার চিহ্ন ওই সীমান্তে মিলায়!
মানুষ একা, দেখেছি আমি সে জনারন্যে পর্বত সমান!
এসেছিল যে রিক্ত হস্তে যায় ফিরে সেই রিক্ত,
তবু্ও বিদায়ে কিছু হৃদয় করে যায় শিক্ত!
পশ্চাতে যায় রহে অসমাপ্ত কিছু অনুরাগ, মান-অভিমান।
বুঝি মৃত্যু সে দ্বার, সে সৌভাগ্যের ক্ষণ?
সৃস্টি হতে ফিরে অনন্ত স্রস্টায় মিলাবার ধন?
রুপ হতে অরুপে বিস্তার? কে জানে;-
নাকি জন্মে যে বিচ্ছেদ, শেষ হয় মৃত্যুর আগমনে!